পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং সৌগত রায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরে অনুব্রত মণ্ডল। ১৯ দিনের ব্যবধানে তৃণমূলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা কেন্দ্রীয় দু’টি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে শাসকদল। দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় যদিও পার্থকে নিয়ে ‘লজ্জিত’ হলেও কেষ্ট সম্পর্কে অতটা নয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে যেমন আমরা লজ্জিত, অনুব্রতের বিষয়ে আমরা সেটা এখনই কিছু বলতে রাজি নই। এই বিষয়ে আরও তথ্য সামনে এলে বোঝা যাবে।’’
বৃহস্পতিবার সকালেই অনুব্রতকে আটক করে সিবিআই। বিকেলে গ্রেফতার করে। এর পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দল কারও পাশে থাকবে না। এর আগেই দুপুরে খড়দহে তৃণমূলের রাখিবন্ধন উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে সৌগত বলেন, ‘‘অনুব্রতের গ্রেফতারিতে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। অনুব্রত ভাল সংগঠক ছিল, দলের ক্ষতি হল। তবে ওর কোনও দোষ এখনও প্রমাণিত হয়নি, তাই দোষ প্রমাণিত হলে ওকে কী করা হবে, তা দল নিশ্চয়ই পরে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতকে সিবিআই ডাকছিল, কিন্তু শরীর খারাপের জন্য যেতে পারেনি। ওঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী বক্তব্য সেটা আমরা এখনও জানি না। চার্জশিটে ওঁর নাম ছিল না।’’ অনুব্রত কেন বার বার তলব করা সত্বেও সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হচ্ছিলেন না, তা নিয়েও মন্তব্য করেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই যেমন আইন অনুসারে ডেকেছে, তেমন মানুষ সমন এড়াতেই পারে। অসুস্থতার কারণে ও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে একাধিক বার। একটা অসুস্থ লোককে জোর করে এ ভাবে নিয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়।’’
সৌগতর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনুব্রত মানেই তৃণমূল আর তৃণমূল মানেই অনুব্রত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিচ্ছিন্ন কেউ নন। আসলে তৃণমূলের জন্যই গোটা বাংলা দেশের কাছে লজ্জিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy