কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় দিলীপ রামের (ইনসেটে)। —নিজস্ব চিত্র।
সকাল ন’টার ব্যান্ডেল স্টেশন। গমগম করছে প্ল্যাটফর্ম চত্বর। সবাই ট্রেন ধরার জন্য ব্যস্ত। হঠাৎই পর পর গুলির আওয়াজ! ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা চত্বর। শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম দিলীপ রাম (৪০)। তিনি ওই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান ঋতু সিংহের স্বামী দিলীপ। তিনি পূর্ব রেলের কর্মী। নৈহাটিতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ট্রেন ধরার জন্য ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছিলেন দিলীপ। তখনই আততায়ীরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দিলীপ। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয়। হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিলীপকে খুন করেছে।
এই ঘটনার নেপথ্যে বিজু পাসওয়ান জড়িত থাকতে পারে বলে তৃণমূলের একটা অংশের অভিযোগ। বিজুর ভাই কুখ্যাত দুষ্কৃতী লালা পাসওয়ান জেলে রয়েছে। বিজেপিই বিজুকে দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ দিলীপ অনুগামীদেরও। তবে ওই তৃণমূল নেতার পরিবার সূত্রে খবর, বিজুর সঙ্গে বেশ কয়েক বার ঝামেলা হয়েছিল দিলীপের। এ নিয়ে বিজু খুনের হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: ন’দিনে আটত্রিশ জায়গায় ছড়াল কাটমানি বিক্ষোভ
নকশালপন্থী নেতা সন্তোষ রানা প্রয়াত
যদিও বিজেপি এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ব্যান্ডেলের পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিংহ এবং তাঁর স্বামী দিলীপ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দলের মধ্যে ঝামেলার কারণেই খুন হয়েছেন দিলীপ। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy