Advertisement
E-Paper

ভাটপাড়ায় বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতারা  

পুলিশও মনে করছে, ওই এলাকায় গেলে সমস্যা হতে পারত। প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিল আগে থেকে। গোটা এলাকা ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্টারে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০৩:২৫
মনোজ বর্মার সঙ্গে ফিরহাদ ও জ্যোতিপ্রিয়।ছবি:সজল চট্টোপাধ্যায়

মনোজ বর্মার সঙ্গে ফিরহাদ ও জ্যোতিপ্রিয়।ছবি:সজল চট্টোপাধ্যায়

গোলমালের মাঝে পড়ে গুলিতে দু’জনের মৃত্যুর পরে সপ্তাহ পেরিয়েছে। এত দিনে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভাটপাড়ায় এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূলের পরিষদীয় দল। তাঁদের ঘিরে কয়েক জন প্রশ্ন তোলেন, যেখানে গোলমাল, সেখানে কেন যাচ্ছেন না তাঁরা? টিনা গুদাম, নয়াবাজার এবং কাছারি রোডের এলাকায় যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে পা রাখেননি নেতারা।

পুলিশও মনে করছে, ওই এলাকায় গেলে সমস্যা হতে পারত। প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিল আগে থেকে। গোটা এলাকা ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্টারে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতারা এলে মানুষ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে তাঁদের ‘স্বাগত’ জানাবে।

এ দিন তৃণমূলের পরিষদীয় দলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু প্রমুখ। বেলা সওয়া ৩টে নাগাদ কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে আসেন তাঁরা। স্টেশনের পাশেই চালতা রোড এবং ৩ নম্বর গলিতে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। ভিড়ের মধ্যে থেকে এক মহিলা বলে ওঠেন, অন্য এলাকার গেলে গোলমালের ‘আসল ছবি’ দেখতে পারবেন নেতারা। টিনা গুদাম এলাকা থেকে এসেছিলেন কিছু মানুষ। তাঁরা চিৎকার করে বলতে শুরু করেন, ‘‘যেখানে কিছু হয়নি, সেখানে কেন ঘুরছেন? আমাদের বাড়ি-ঘর লুট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। দেখবেন চলুন।’’ হট্টগোলের মাঝে পড়ে ঈষৎ বিব্রত তৃণমূল নেতারা কেউ কেউ বলেন, ‘‘আমরা ওই এলাকাতেও যাব।’’ পরে অবশ্য আর সে পথ মাড়াননি কেউ। তবে জানিয়েছেন, দিন সাতেক পরে ফের আসবেন।

এ দিন ভাটপাড়া থানায় গিয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্জুনই দুষ্কৃতীদের দিয়ে অশান্তি পাকাতে চাইছেন বলে অভিযোগ ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয়দের। অর্জুনকে গ্রেফতারের দাবি করেন ফিরহাদ। অর্জুনের কটাক্ষ, ‘‘যে দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, সে দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেও পারেননি। তাঁর মন্ত্রী ববি হাকিম আমাকে গ্রেফতার করাবেন?’’

ফিরহাদ জানান, গোলমালে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ৬৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবার পাবেন ২ লক্ষ করে টাকা। পরিবারের এক জন সদস্যকে চাকরিও করা হবে। সোমবার নিহত রামবাবু সাউ ও ধর্মবীর সাউয়ের পরিবারের সদস্যদের নবান্নে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ।

TMC Bhatpara Protest BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy