অনুব্রত মণ্ডলের সুরে হুঁশিয়ারি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের। — ফাইল চিত্র।
আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে হুঙ্কার-হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। এ বার সেই ভূমিকায় দেখা গেল চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সমস্বরে তিন তৃণমূল নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে সিপিএম এবং বিজেপি।
শনিবার চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত স্লোগান দেন, ‘‘অভিষেকের নামে কুৎসা হলে ধোলাই হবে, পেটাই হবে।’’ ওই একই মঞ্চ থেকে বক্তৃতার সময় সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের উদ্দেশে কল্যাণ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘‘মমতাদি একটা ভুল করেছেন। আমি এখন মনে করছি তাই। দিদির সমালোচনা করা আমার উচিত নয়। কিন্তু আমার এখন যেন মনে হচ্ছে। আগে মনে হয়নি কখনও। ‘বদলা নয়, বদল চাই’— এর বদলে ‘বদলা চাই’— এটাই হওয়া উচিত ছিল। আমাকে ক্ষমা করবেন মমতা’দি। আমি বলে ফেললাম। আপনার অনেক বড় মানসিকতা। আপনার হৃদয় অনেক বড়। তাই আপনি বলেছিলেন। কিন্তু আপনার মানসিকতা বোঝার মতো ক্ষমতা বিরোধীদের নেই। যে ভাবে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নোংরামি করছে, তাতে আমাদের সেই দিনই বলা উচিত ছিল বদলার বদলে বদলা নিতে হবে।’’
অসিত এবং কল্যাণের মতো হুঙ্কার দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মদনও। তিনি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে বলি, বেশি ইট-পাটকেল করবেন না। এর পর পরিস্থিতি এমন আসবে, আপনাকে কিন্তু কোমরে বেল্ট পরিয়ে ঘোরাতে হবে। কলকাতা-সহ বাংলায় যদি তৃণমূল কর্মীদের গায়ে হাত পড়ে তা হলে ইট-পাথর তো দূরের কথা, কার কোমরে-গলায় বকলস পরায় জানেন তো? আপনাদের গলায় এ বার বকলস পরিয়ে ঘোরাতে হবে। তার জন্য তৈরি থাকুন।’’
তৃণমূলের তিন জন প্রতিনিধির এ হেন আক্রমণ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা তোপ, ‘‘ধ্বংস অনিবার্য বুঝে ওঁরা মস্তিস্কের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। সবটাই মানুষ দেখছেন। যা কিছু জবাব মানুষ জবাব দেবেন।’’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর এ নিয়ে মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল নেতারা কেন্দ্র থেকে যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে ওঁরা বুঝেছেন, যত দাপট দেখাবেন তত বড় নেতা হবেন। তত বেশি পোস্ট হবে। তত বেশি দিনের জন্য কোটি কোটি টাকা। সাম্রাজ্যের ভাগীদার হওয়ার জন্য লাফালাফি চলছে। ওঁরা টের পাচ্ছেন না। খুঁটিটা আলগা হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy