Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Abhishek Banerjee

মোদী-শুভেন্দুকে পদহারা করতে মামলা তৃণমূলের, মমতার ধর্না শেষ হলেই অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের আইনজীবী সেলকে নির্দেশ দিয়েছেন, সুরত আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদ খারিজের বিষয়ে উদ্যোগী হতে।

TMC legal cell will take inciative to dismiss BJP leader Suvendu Adhikari MLA post after TMC leader Abhishek Banerjee\\\\\\\\\\\\\\\'s instructions

অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৪
Share: Save:

বুধবার শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলের আইনজীবী সেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সুরত আদালতের সেই রায়কে হাতিয়ার করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদ খারিজের বিষয়ে উদ্যোগী হতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার শেষ দিন। সন্ধ্যায় কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা। আর তার পরেই অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাহুলের সাংসদ পথ খারিজ নিয়ে সুরত আদালত যে রায় দিয়েছে তার প্রতিলিপি হাতে পেয়েছেন দলের আইনজীবী সেলের নেতারা। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেলেও, কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না কর্মসূচি শেষ হলে।

দলের আইনজীবী সেলের নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রায়ের প্রতিলিপি পর্যালোচনার পাশাপাশি, এফআইআর এবং মামলা দায়ের করার মতো বিষয়গুলিও রয়েছে। যা ধাপে ধাপে আমাদেরকে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের আইনজীবী সেলের নেতারা, সব দিক পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।” ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার সুরতের একটি আদালত ‘মোদী’ পদবি নিয়ে রাহুলের আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দু’বছর জেলের সাজা শোনায় কংগ্রেস নেতাকে। পরের দিনই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ওই দিনই রাহুলের নাম না করে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনেই টুইট করে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিষয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন। মমতা লিখেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রাইম টার্গেট। অপরাধের ইতিহাস থাকলেও, মন্ত্রিসভায় আছেন বিজেপি নেতারা। অপরাধের ইতিহাস থেকেই বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায়, মন্তব্যের জন্য বিরোধী নেতাদের সাংসদ পদ খারিজ।’’ অভিষেক টুইটারে লেখেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভারত এখন অলীক।’’

আর বুধবার শহিদ মিনারের সভায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের নির্দেশকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কারণ হিসাবে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘‘মোদী পদবি নিয়ে বলে যদি রাহুল গান্ধী ওবিসি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে থাকেন, তার জন্য যদি তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ড এবং সাংসদ পদ খারিজ হয়, তা হলে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের নেত্রীকে ‘দিদি ও দিদি’ বলে আক্রমণ করেছিলেন, সেটা কি মহিলাদের অসম্মান নয়? তা হলে সেই কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাংসদ পদ কেন খারিজ হবে না?’’ আর বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে পায়ের তলায় রাখার কথা বলেছিলেন। এই দুটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। সেই নির্দেশ মতোই এগোতে চায় তৃণমূলের আইনজীবী সেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Abhishek Banerjee Suvendu Adhikari TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE