ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করলেও, শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রের শাসকদলকে খুশি করতেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। আর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কায় রাজ্যে একে পর এক মানুষ আত্মহত্যা করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাই এ বার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল পরিষদীয় দল।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই শীতকালীন অধিবেশনই হতে চলেছে চলতি বিধানসভার শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। কারণ, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কেবলমাত্র ভোটের আগে অন্তবর্তিকালীন বাজেট হবে। তাই সে দিক থেকে এ বছর শীতকালীন অধিবেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই অধিবেশনকে হাতিয়ার করেই এসআইআর ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে চায় তৃণমূল পরিষয়ীদ দল। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সপ্তাহে শুরু হতে পারে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। রাজ্য সরগরম হয়েছে এসআইআর নিয়ে। এমতাবস্থায় এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনে রাজ্যের ভোটারদের ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল পরিষদীয় দল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই এসআইআরের বিরুদ্ধে কলকাতার রেড রোড থেকে জোঁড়াসাকো পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই এই প্রস্তাব আনার বিষয়ে ভাবনার রসদ পেয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। তবে এ বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে কিছু জানাতে নারাজ শাসকদলের পরিষদীয় দলের সদস্যেরা। পরিষদীয় দলের এক প্রবীণ সদস্যের কথায়, “নির্বাচন কমিশন যে ভাবে এসআইআর শুরু করেছে, তাতে নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় মানুষ আত্মঘাতী হচ্ছেন। তাই এমন ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের দলের দুই শীর্ষনেতা পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন। পরিষদীয় দলও চায় বিধানসভায় প্রস্তাব এনে এসআইআরের বিরুদ্ধে বিজেপি ও কমিশনকে একযোগে আক্রমণ করতে। তাই এই বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেলেই, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, বামশাসিত কেরল বিধানসভাতেও এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। চলতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কেরল বিধানসভায় ওই প্রস্তাব পাশ হয়েছে।