Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Ghatal Master Plan

Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে নীতি আয়োগে দরবার করবে রাজ্য

গত চার দশক ধরে ঝুলে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ফলে প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার মরসুমে পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়।

দিল্লি বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও বিধায়করা। আগামীকাল দেখা করবেন নীতি আয়োগের কর্তাদের সঙ্গে।

দিল্লি বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও বিধায়করা। আগামীকাল দেখা করবেন নীতি আয়োগের কর্তাদের সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ১৯:৫৮
Share: Save:

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে নীতি আয়োগের দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে সোমবার দুপুরে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল দিল্লি রওনা হল। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোরা ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন। বিধায়কদের মধ্যে প্রতিনিধিদলে রাখা হয়েছে মেদিনীপুরের অভিনেত্রী-বিধায়ক জুন মালিয়া এবং পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতিকে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রতিনিধিদলে যোগ দিতে পারেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার মরসুমে পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়।কিন্তু গত প্রায় চার দশক ধরে ঝুলে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন’ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বরাদ্দ করেছে ১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা।প্রথম দিকে এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশীদারিত্বের অনুপাত ছিল ৭৫:২৫। অর্থাৎ মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাকি ২৫ শতাংশ রাজ্য। কিন্তু রাজ্য সরকারের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই অংশীদারিত্বে বদল হয়েছে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান-সহ আরও অনেক প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের আনুপাতিক অংশীদারিত্ব এখন প্রায় সমান সমান। অর্থাৎ, মোট ব্যয়ের ৫০শতাংশ বহন করবেকেন্দ্র। বাকি ৫০ শতাংশ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ, নতুনএই নিয়মেও অর্থ বরাদ্দ করেনি মোদীর সরকার। তার ফলেই ঝুলে রয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান।‌

মঙ্গলবার দিল্লিতে দুপুর দুটোয় ওই প্রতিনিধিদলটির যাওয়ার কথা জলসম্পদমন্ত্রকে। সেখানেই জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের সঙ্গে দেখা করতে পারে ওই দলটি। বিকেল চারটের সময়যাওয়ার কথানীতি আয়োগে। প্রতিনিধিদলে থাকা শিউলি সোমবার বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তো বটেই, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নিয়েও আমরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার। তাই নীতি আয়োগ ও জলসম্পদ মন্ত্রকের কাছে আমরা দাবিপূরণের জন্য দরবার করতে এসেছি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কারণে বছরের পর বছর বাংলার একাংশের মানুষ বন্যা সহ্য করবেন, তা হতে পারে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE