থানার সামনে ধর্নায় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বোমা পড়ল তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই ঘটনার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শান্তিপুর থানায় ধর্নায় বসলেন বিধায়ক অরিন্দম। যদিও এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
রাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চে অরিন্দম রাজ্যপালকে প্রণাম করার পরেই তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ অরিন্দমের নিন্দা করেন। অরিন্দম বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা তীব্র হয়। শান্তিপুরের এই বিধায়ক অবশ্য আদতে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে ভোটে জেতেননি। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসাবে জিতে পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে শান্তিপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর তোপখানাপাড়ায় অরিন্দম-ঘনিষ্ঠ দীপঙ্করের বাড়িতে বোমা মারে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে কিছুটা দূরে তামাচিকাপাড়া এলাকায় অরিন্দমের ভাড়া বাড়ির কাছে রাখা তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। অরিন্দম বলেন, “এর আগেও আমার উপরে হামলা হয়েছে। কারা করেছে, মানুষ জানেন। এর জবাব আগেও তাঁরা দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও দেবেন।’’ অরিন্দমের আরও বক্তব্য, ‘‘বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশি পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।”
রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, এ দিনের আক্রমণের পরে শাসক দলের বিধায়ক অরিন্দম চাইলে বিরোধীদের নামে অভিযোগ করতে পারতেন। তা না করে তিনি যে ভাবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানায় ধর্নায় বসেছেন, তার নজির বিরল।
তবে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ এ দিন বলেন, “আমরা কোনও অভিযোগ এখনও পাইনি। পুলিশ নিজের কাজ ঠিকঠাকই করছে।” অরিন্দম জানান, তাঁরা আজ, শুক্রবার থানায় অভিযোগ জমা দেবেন। তৃণমূলের অন্দরে শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে-র সঙ্গে অরিন্দমের মতবিরোধ সর্বজনবিদিত। অজয়বাবু বলেন, ‘‘ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সত্য জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy