Advertisement
E-Paper

‘কাশ্মীরে নিহত বিতানের মা-বাবা অসুস্থ, ওষুধের খরচ বাবদ মাসে ১২ হাজার টাকা দেব’, জানালেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিহত বেহালার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের ওষুধের খরচ বাবদ মাসে ১২ হাজার টাকা দেবেন বলে জানালেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪৫
বিতান অধিকারীর বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখতে বেহালার বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।

বিতান অধিকারীর বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখতে বেহালার বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিহত বেহালার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের ওষুধের খরচ বাবদ মাসে ১২ হাজার টাকা দেবেন বলে জানালেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রত্না বলেন, ‘‘আমি বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমাদের সরকার আপনাদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনাদের ওষুধের খরচ বাবদ মাসে যে ১২ হাজার টাকা লাগে, তা আমিই বহন করব।’’

গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় যে ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে, বিতান তাঁদেরই এক জন। বিতানদের একটি বাড়ি বেহালার বৈশালী পার্কে, যা কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। রত্নার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে জায়গাটি। বৈশালী পার্কের বাড়িতেই বিতানের মা-বাবা থাকেন। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে টিভিতে খেলা দেখার ফাঁকে চ্যানেল ঘুরিয়ে ছেলে বিতানের মৃত্যুসংবাদ জানতে পারেন ৮৭ বছরের বৃদ্ধ বাবা বীরেশ্বর অধিকারী। তার পর থেকে কথা বলার অবস্থায় নেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী। কাজের সূত্রে বছরখানেক আগে ফ্লরিডা গিয়েছিলেন পরিবারের ছোট ছেলে বিতান। তিনিই মূলত বৃদ্ধ মা-বাবার দেখাশোনা করতেন। কয়েক মাস আগে কলকাতায় ফিরে তাঁদের চোখের অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন। তার পরেই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন বিতান।

বুধবার সন্ধ্যায় বিতানের দেহ ফিরেছিল কলকাতায়। রাতেই কেওড়াতলা শ্মশানে দেহ সৎকার করা হয়েছিল। এর পর বৃহস্পতিবার বিতানদের বৈশালী পার্কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেন রত্না। তিনি জানান, মা-বাবার খরচাপাতি বিতানই বহন করতেন। বড় ছেলের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে, বৃদ্ধ দম্পতিকে সেই আশ্বাস দিয়ে তাঁদের হাতে কিছু টাকাও তিনি তুলে দিয়েছেন বলে জানান রত্না।

বিধায়ক বলেন, ‘‘ওঁরাই বলল যে, ওঁদের মাস গেলে ১২ হাজার টাকা লাগে ওষুধের জন্য। আমার মা-বাবারও যদি এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হত, আমিও তো ওঁদের পাশে দাঁড়াতাম। সেটা ভেবেই ওষুধের খরচ বহন করব বলেছি।’’

Pahelgam Terror Attack Bitan Adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy