ফাইল চিত্র।
এক বিতর্ক চাপা দিতে গিয়ে আর এক বিতর্ক ডেকে আনলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব।
ঘাটালের এ বারের বন্যা দেখে কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দেব মন্তব্য করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবারের জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে না এলাকাবাসীর। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবিতে আজ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওযাতের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও বিধায়কদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেব। পরে সাংবাদিকদের কাছে তৃণমূল সাংসদ আশাপ্রকাশ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবি সম্পর্কে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে।
তবে ঘাটালের বন্যা মোকাবিলার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার প্রসঙ্গ জুড়ে তাঁর পুরনো মন্তব্য মনে করিয়ে দিলে দেব বলেন, ‘‘ঘাটালের মানুষের কষ্টের কথা দিল্লিতে একাধিকবার বলেছি। আজও সেই কারণে দিল্লি আসা। কিন্তু কারও কানে সেই আওয়াজ পৌঁছচ্ছে না। আমার মনে হয়েছিল, দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে হয়ত সমস্যার সমাধান হবে। তাই ওই কথা বলেছিলাম। পয়েন্ট বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বলিনি।’’ এর পরেই দেবের মন্তব্য, ‘‘একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, এ-ও বলছি, বিজেপির যদি কেউ (প্রধানমন্ত্রী) হন, যিনি মানুষের কষ্ট বুঝবেন... শুধু ভোটের সময়ে সোনার বাংলা গড়ার কথা বলবেন না.....। আমার মতে, একজন বাঙালি যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন, তা হলে ওই সমস্যা দূর হত।’’
দেবের মুখে বাঙালি কোনও বিজেপি নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত মানস ভুঁইয়া, সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতারা। পরে দেবকে আরও প্রশ্ন করা হলে অভিনেতা, সাংসদকে জবাব দিতে দেননি সুখেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমি উত্তর দিচ্ছি। দেব আর কিছু বলবেন না। দেব যা বলার বলে দিয়েছে।’’ বৈঠকের শেষে এক তৃণমূল নেতার মন্তব্য, ‘‘এক বিতর্ক ঢাকতে গিয়ে আর এক বিতর্ক বেধে গেল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy