শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারার ফল ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পেয়েছে তৃণমূল। হুগলির ধনিয়াখালিতে সোমবার এই ‘স্বীকারোক্তি’ শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
বেলমুড়িতে দলের সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘নভেম্বর-ডিসেম্বর এর মধ্যে হয়তো পুরসভার নির্বাচনগুলো হবে। তার জন্য কাজ করতে হবে। ২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে। পঞ্চায়েতের নির্বাচনে কাজ করতে হবে। ২০১৮-তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তার ফল ভোগ করতে হয়েছিল আমাদের। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে এর পর কল্যাণ বলেন, ‘‘সেই মানুষগুলিই কিন্তু ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন। তাই ভোট যেন সকলে দিতে পারেন। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়ে লড়াই করে জিতে আসার মানসিকতা যাঁদের আছে, তাঁরাই যেন প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার বাসনা থাকলে প্রার্থী হতে হবে না।’’
পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেও সোমবার জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘আইপ্যাক একটি রিপোর্ট তৈরি করছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ হচ্ছে। আমি শুধু একটাই অনুরোধ জানিয়ে যাব। যাঁরাই এই রিপোর্ট তৈরি করুন না কেন, যেন তৃণমূল স্তর থেকে মতামতের নিয়েই তা করেন। এটা হতে পারে, না কার সঙ্গে আপনার প্রেম আছে কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে কার সঙ্গে এসে দিল্লি রোডের পাশে কোনও দোকানে বসে খেয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দিলেন।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হুগলি জেলা তৃণমূল সংগঠনে অনেক রদবদল ঘটানো হয়েছে। জেলাকে দু’টি সাংগঠনিক কমিটিতে ভাঙা হয়েছে। তার নেপথ্যে টিম পিকে-র ‘ভূমিকা’ নিয়েও জল্পনা রয়েছে। কল্যাণের মন্তব্য তাই ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলে মনে করছেন অনেকেই। বিজেপি-র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘কল্যাণবাবুর কথায় স্পষ্ট হল, পঞ্চায়েত ভোটে বহু জায়গায় বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেয়নি তৃণমূল। তাঁকে সাধুবাদ জানাই। তবে এ বার যদি বিরোধীরা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পায় এবং মানুষ ভোট দিতে পারেন, তৃণমূলের জয় সহজ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy