তৃণমূলের কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না।
দেশের রাজনীতিতে কৃষক-সঙ্কট নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরে সে বিষয়ে সক্রিয় হল তৃণমূলও। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের তৃতীয় কৃষক সম্মেলন হবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তা হিসাবে পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না।
তৃণমূলের দাবি, অন্য রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও এ রাজ্যে কৃষকের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ‘ঐতিহাসিক’ কাজ করেছে। তবে তা নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ‘আত্মতুষ্টি’তে ভুগতে রাজি নন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল ভবনে রবিবার কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের সভায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অন্য রাজ্যে কৃষকেরা ফসলের উপযুক্ত দাম না পেয়ে ঋণে জড়িয়ে আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু এ রাজ্যের সরকার কৃষকদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে তাঁদের জীবনের মানে পরিবর্তন এনেছে। তবে এখানেই না থেমে তাঁদের আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
দলীয় সভায় পার্থবাবু আত্মসমালোচনার সুরে আরও বলেছেন, ‘ঠান্ডা ঘরে বসে’ কৃষকদের কথা বলা হচ্ছে! তা না করে মাঠের কৃষককে সংগঠনে এনে জমির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, সারের ব্যবহার-সহ কৃষির উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে চর্চা করতে হবে। দেখতে হবে, সব কৃষক যেন উৎপন্ন ধান সরাসরি সরকারকে বিক্রি করার সুযোগ পান। সভার পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরের জমি ফেরত দিয়েছেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে নানা পদ্ধতিতে তিনি প্রান্তিক কৃষকদের সাহায্য করছেন। জমির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে, কৃষির উপকরণ কৃষকের কাছে সময়মতো পৌঁছে দিয়ে কৃষি ব্যবস্থার আরও আধুনিকীকরণ ঘটাতে চাই আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy