প্রতীকী ছবি।
গত পুরভোটে বিনা লড়াইয়ে গয়েশপুর পুরসভার সব আসনে জিতেছিল তৃণমূল। পুরপ্রধান হন মরণকুমার দে। বহু দিন ধরে তিনি শহর তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। পরে অবশ্য আচমকা তাঁকে সরিয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে শহর তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সুকান্তকেও মাসখানেক আগে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছে মিন্টু দে-কে।
এখন পুরভোটে সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে, সদ্যপ্রাক্তন ও বর্তমান শহর তৃণমূল সভাপতিদের কেউই আগের আসনে দাঁড়াতে না-ও পারতে পারেন। সুকান্ত গত বার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এ বার আসনটি মহিলা প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে। ফলে তিনি যে আর ওই আসনে যে আর দাঁড়াতে পারবেন তা প্রায় নিশ্চিত। তাঁর অনুগামীদের অনেকের অবশ্য আশা, এটা তো চূড়ান্ত তালিকা ন।, খসড়া। চূড়ান্ত তালিকায় এটা পালটেও যেতে পারে। তাঁদের দাবি, সুকান্ত গত পাঁচ বছরে এলাকার মানুষের জন্য যা করেছেন, তা নজিরবিহীন। ফলে নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারলে তাঁর ভোট চাইতে যাওয়ারও দরকার পড়বে না।
মাসখানেক আগে শহর তৃণমূলের সভাপতির পদ পাওয়া দাপুটে নেতা মিন্টু দে-র ৪ নম্বর ওয়ার্ড এ বার তফসিলি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। ফলে তিনি যে তাঁর আগের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না, তা এক প্রকার নিশ্চিত। আবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান মোহন রামের আসনটি এ বার সংরক্ষণের আওতার বাইরে। তফসিলি জাতিভুক্ত মোহনের অবশ্য সেখানে দাঁড়াতে বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘‘এখনও এই আসনে তফসিলি জাতির কেউ দাঁড়াতে পারেন। তবে আমি কোথায় দাঁড়াব বা দাঁড়াব না, এটা দল স্থির করবে।’’
মোহনের মতে, ‘‘গত লোকসভা ভোটেও সুকান্তদার নেতৃত্বে লড়াই করে তৃণমূল এই শহর থেকে বেশ কয়েক হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। ফলে দাদাকে সামনের সারিতে রেখে ভোটে গেলে দলের মঙ্গল। দল তাঁকে নিশ্চয়ই তেমন কোনও আসনেই দাঁড় করাবে দল।’’ সুকান্তরও অবশ্য সেই বাঁধা গৎ, ‘‘দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত।’’
বিদায়ী পুরপ্রধান মরণকুমারও বলছেন, ‘‘কোন কাউন্সিলর টিকিট পাবেন আর কে পাবেন না, কোন আসনেই বা তাঁরা টিকিট পাবেন, সেটা একেবারেই দলের ব্যাপার। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হবে বলে শুনছি। তাই বোর্ড এ বারও তৃণমূলের দখলেই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy