Advertisement
E-Paper

ফায়দা ‘বিস্তর’, তাই দ্বন্দ্ব বিদ্যুৎ ইউনিয়নে

তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময়েই ১৯৯৮ সাল নাগাদ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ পর্ষদে দলের কর্মী সংগঠন তৈরি হয়েছিল। শোভনদেববাবু বিদ্যুৎমন্ত্রী হওয়ার পরে এখন ওই ইউনিয়নের সভাপতি বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু।

দেবারতি সিংহ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

খাতায়-কলমে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে একটি কর্মী ইউনিয়নের। অন্য ইউনিয়ন তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে কাজ চালালেও তার স্বীকৃতি নেই। বিদ্যুৎ পর্যদে এই দুই ইউনিয়নের কর্তৃত্ব দখলের টানাপড়েন এখন শাসক দলের দুই দাপুটে বিধায়কের লড়াইয়ের জেরে অন্য মাত্রা পেয়েছে!

তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময়েই ১৯৯৮ সাল নাগাদ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ পর্ষদে দলের কর্মী সংগঠন তৈরি হয়েছিল। শোভনদেববাবু বিদ্যুৎমন্ত্রী হওয়ার পরে এখন ওই ইউনিয়নের সভাপতি বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। অন্য দিকে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়া ইউনিয়নের সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তার কার্যকরী সভাপতি তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূলের অন্দরে সব্যসাচী-সুজিতের সম্পর্ক বরাবরই ‘মধুর’। দু’জনের সেই সম্পর্ক এখন আরও ‘মধুরতর’ হয়েছে এই ইউনিয়নের দখলকে কেন্দ্র করে! বিদ্যুৎ দফতর একটি সূত্রের অভিযোগ, ওখানকার ইউনিয়ন যথেষ্ট ‘লাভজনক’। ঠিকাদারদের মাধ্যমে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। ইউনিয়নের কর্ত়ৃত্ব রাখার লড়াই তাই এত তীব্র!

দিনকয়েক আগে কর্মীদের দাবি নিয়ে বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন সব্যসাচী। বিদ্যুৎমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন। কেন, তা নিয়ে জল্পনার সূত্রেই উঠে আসছে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদের প্রসঙ্গ।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার একটি সূত্রের বক্তব্য, সুজিতের ইউনিয়নটিই কাগজে-কলমে আইএনটিটিইউসি-র আদি সংগঠন। ওই সংস্থায় কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি-র যে সংগঠন ছিল, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সেটিও আইএনটিটিইউসি-র অনুমোদন পায়। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন ওই ইউনিয়নকে অনুমোদন দেন বলে কর্মীদের একাংশের দাবি। দলের মধ্যে এই নিয়ে অভিযোগ করে সুরাহা না মেলায় ওই ইউনিয়নের বৈধতাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন সুজিতের নেতৃত্বাধীন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলাই দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০১৬ সালের এপ্রিলে ওই ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। তার পরেও ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা!’’ তবে নতুন ইউনিয়নের সভাপতি মদনবাবুর দাবি, রেজিস্ট্রেশন বাতিল কি না, তাঁর জানা নেই!

একটি সংস্থায় দলের শ্রমিক সংগঠনের একটিই ইউনিট থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তা হলে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় কেন দোলার জবাব, ‘‘আমি সাংগঠনিক বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলি না।’’

TMC MLA Electricity Union তৃণমূল বিধায়ক বিদ্যুৎ ইউনিয়ন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy