কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রতীক গ্রহণ করলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানীপুরের তৃণমূল পার্টি অফিসে হাজির হন আলিফা। সঙ্গে ছিলেন চোপড়ার বিধায়ক তথা নদিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান। দলের প্রার্থীর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘাসফুল’ তুলে দিয়ে ভোটের ময়দানে নামার নির্দেশ দেন বক্সী।
প্রতীক গ্রহণের পর রাজ্য সভাপতি সুব্রতর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন আলিফা। সুব্রত তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেন, “বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। দলের উপর ভরসা রাখো, দলও তোমার পাশে থাকবে।”
উল্লেখ্য, আলিফা আহমেদ প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা। তাঁর বাবার অকালপ্রয়াণে শূন্য হয়ে পড়ে কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনটি। তৃণমূল সেই আসনেই প্রার্থী করেছে আলিফাকে। দীর্ঘ দিন ধরে পিতার সঙ্গে রাজনৈতিক ময়দানে যুক্ত থেকেছেন তিনি। কালীগঞ্জ থেকেই জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন আলিফা। আর এখন দলীয় প্রতীক হাতে নিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে লড়াইয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেন তিনি। আলিফা বলেন, “এই প্রতীক শুধু একটি প্রতীক নয়, আমার বাবার স্বপ্ন, তাঁর অসমাপ্ত কাজের উত্তরাধিকার। আমি তাঁর কাজ শেষ করতে এবং কালীগঞ্জের মানুষের পাশে থাকতে চাই। জয়ী হওয়ার জন্য রাজ্য সভাপতির আশীর্বাদ চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে নির্বাচনী যুদ্ধে জয়ী হওয়ার আশীর্বাদ করেছেন।” বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “আলিফা শিক্ষিত ও পরিশ্রমী মহিলা। ওঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, কালীগঞ্জের মানুষ তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।”
কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১১ সালে প্রথম বার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয় পান নাসিরউদ্দিন। কিন্তু ২০১৬ সালে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হাসানুজ্জামানের কাছে পরাজিত হন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আবার কালীগঞ্জ থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন নাসিরুদ্দিন। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘লাল’ নামে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়িতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তাঁর মৃত্যুর পর তিন মাস বিধায়কহীন রয়েছে কালীগঞ্জ। আগামী ১৯ জুন বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন হবে কালীগঞ্জে। ভোটগণনা হবে ২৩ জুন।