যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা-মায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু যাদবপুরে সে দিনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অব্যাহত রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সঙ্গে রীতিমতো ফুটেজ-যুদ্ধে নেমেছে তারা!
শিক্ষামন্ত্রী আগে বলেছিলেন, বিক্ষোভ, ধাক্কা, ইটের মুখে তাঁর গাড়ির চালক আতঙ্কে গাড়ি চালিয়ে ফেলেছিলেন। তৃণমূলের আইটি শাখার প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য অবশ্য কিছু ছবি দিয়ে দাবি করেছিলেন, ইন্দ্রানুজ আদৌ ওই গাড়ির ধাক্কায় আহত হননি। এসএফআই পরের দিন কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে পাল্টা দাবি করে, অন্য এক জনকে ইন্দ্রানুজ বলে দেখিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করেছে তৃণমূল। গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছেন ইন্দ্রানুজই। এর পরে মঙ্গলবার তৃণমূলের দেবাংশু ফের প্রশ্ন তুলেছেন, “ছবিতে (ভাইরাল হওয়া ছবি দেখিয়ে) দেখা যাচ্ছে, এক জন একটি বড় গাড়ির চাকার নীচে ঢুকে রয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন, যেখান থেকে ছবিটি নেওয়া, সেই ভিডিয়োটা কোথায়?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এসএফআইয়ের বক্তব্য, গাড়ি চাপা দিয়ে চলে গিয়েছে। আড়াআড়ি শুয়ে থাকা অবস্থায় এত বড় গাড়ি চলে গেলে শুধু চোখে চোট লাগা সম্ভব? এই মিথ্যাচারটা কেন করল সিপিএম?’’ এসএফআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, তারা আবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জবাব দেবে। তবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, “শিক্ষামন্ত্রী নিজে বলছেন তিনি অনুতপ্ত, তিনি ইন্দ্রানুজের বাবাকে তা হলে ফোন করেছিলেনই বা কেন? পুরোটাই ধরা পড়ে যাচ্ছে, বড্ড কাঁচা নাটক!” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের নির্বাচনী ক্ষেত্র দমদম থেকে ভিআইপি পর্যন্ত যাদবপুর-কাণ্ড এবং প্রতিবাদ আন্দোলনে পুলিশের ‘হামলা’র অভিযোগ তুলে এ দিন মিছিল করেছে এসএফআই ও সিপিএম। ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সেলিম, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাস-সহ অন্যেরা।

যাদবপুর থানায় দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর-কাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকার পাশাপাশি ছাত্রদের আচরণেরও সমালোচনা করে যাদবপুর থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, প্রদেশ কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)