Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
State News

লক্ষ্য মেয়ো রোডে রেকর্ড জমায়েত, রবিবার রাত থেকেই কলকাতামুখী টিএমসিপি

এ বারের লক্ষ্য অতীতের সব সমাবেশকে ছাপিয়ে যাওয়া। মেয়ো রোডের সমাবেশ যেন এ বার সর্বাধিক আকার নেয়। নির্দেশ খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ অগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার। কিন্তু রবিবার রাত থেকেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া শুরু করলেন দূরবর্তী জেলাগুলির টিএমসিপি কর্মীরা।

লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। ফাইল চিত্র।

লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ২০:৪৬
Share: Save:

এ বারের লক্ষ্য অতীতের সব সমাবেশকে ছাপিয়ে যাওয়া। মেয়ো রোডের সমাবেশ যেন এ বার সর্বাধিক আকার নেয়। নির্দেশ খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ অগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার। কিন্তু রবিবার রাত থেকেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া শুরু করলেন দূরবর্তী জেলাগুলির টিএমসিপি কর্মীরা।

পুরুলিয়ায় সভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই মাঠেই পাল্টা সভা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিমদের নেতৃত্বে। মেদিনীপুরে সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই মাঠেই পাল্টা সভা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। আর গত ১১ অগস্ট কলকাতার মেয়ো রোডে ফের জনসভা করে গেলেন অমিত শাহ। এ বারও পাল্টা সমাবেশের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের তরফে এবং এ বার মূল বক্তা খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২৮ অগস্ট প্রতি বছরই মেয়ো রোডে সভা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রতি বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান বক্তা হিসেবে থাকেন সে সভায়। তাই ১১ অগস্ট অমিত শাহ সেখানে সভা না করলেও টিএমসিপির এই সমাবেশ হতই। কিন্তু অমিত শাহের সমাবেশের সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে একই জায়গায় টিএমসিপি সভা করবে এবং দুই সভার মধ্যে তুলনা টানা হবে না, এমনটা যে প্রায় অসম্ভব, তা তৃণমূল নেতৃত্ব জানে। তাই এ বারের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ বার রেকর্ড জমায়েত করে দেখাতে হবে। মেয়ে রোডে তাই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে টিএমসিপি। অমিত শাহের সভায় যে ভিড় হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি ভিড় চাই। বার্তা নেতৃত্বের। তেমনটা হলে বাংলার শাসক দল বলতে পারবে যে, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন ডাক দিলেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভার চেয়ে বেশি ভিড় জমে যায়।

আরও পড়ুন: রাজীবদের ফের তলব করল সিবিআই

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত দখলে বোমা-ভাঙচুর, অভিযুক্ত বিজেপি

প্রত্যেক জেলাতেই প্রস্তুতি সভা সেরে ফেলেছেন টিএমসিপির রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠা দিবস সংগঠনের। তাই রবিবারর মধ্যেই সব জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ অনুযায়ী প্রস্তুতি সম্পূর্ণ তো বটেই। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার টিএমসিপি কর্মীরা রবিবার রাত থেকেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া শুরু করেছেন।

টিএমসিপি রাজ্য কমিটির এক সাধারণ সম্পাদক বললেন, ‘‘অনেক জেলাতেই প্রস্তুতির পরে মিছিল হয়েছে। মিছিলের আকার এবং তাতে পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানই বুঝিয়ে দিয়েছে, এ বার প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশকে ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে।’’ কত বড় জমায়েত হবে? সংখ্যাতত্ত্বে যেতে চাইছেন না টিএমসিপি-র কোনও নেতাই। তবে প্রত্যেকেই বলছেন, মেয়ো রোডে আগে যত সমাবেশ হয়েছে, সেগুলোর সবকটাকেই ছাড়িয়ে যাবে এ বারের জমায়েত।

আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং থেকে কর্মী-সমর্থকরা আজ রাতেই ট্রেনে উঠছেন বলে টিএমসিপি সূত্রের খবর। বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন ধর্মশালা ইতিমধ্যেই বুক করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রও। সোমবার সকাল থেকে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করবেন যে টিএমসিপি কর্মীরা, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ওই সব জায়গাতেই হচ্ছে।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE