Advertisement
E-Paper

২০২৬-এর ভোটের আগে সরকারি হাসপাতালে কেমন পরিষেবা? নজরদারি করবে তৃণমূলের নয়া সংগঠন

জেলাস্তরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না দেখা হবে। সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে আন্দোলন বা বিক্ষোভের নামে পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টা হলে তারাও পাল্টা জবাব দেবে তৃণমূলের নয়া সংগঠন।

বিনানি ভবনে চিকিৎসক সংগঠনের সভায় শশী পাঁজা।

বিনানি ভবনে চিকিৎসক সংগঠনের সভায় শশী পাঁজা। নিজস্ব ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৩
Share
Save

আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হলে, তৃণমূলের চিকিৎসা বিষয়ক নয়া সংগঠন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চেষ্ট থাকবে না। এমনটাই দাবি করলেন সংগঠনের সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। ২৭ জানুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে আত্মপ্রকাশের পর শনিবার উত্তর কলকাতার বিনানি ভবনে সংগঠনের সভানেত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই স্থির হয়েছে, সাংগঠনিক কাজকর্মের পাশাপাশি, কলকাতা তথা রাজ্যের জেলাস্তরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না দেখা হবে। সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে আন্দোলন বা বিক্ষোভের নামে পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টা হলে সংগঠনও পাল্টা জবাব দেবে।

শশী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়্নের ওপর যাঁরা আক্রমণ করবেন, তাঁদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। সাধারণ মানুষের যদি কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাঁরা যদি স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন, প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন বসে থাকবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে আমরা কোনও আপস করতে পারি না। সরকারি ডাক্তার, সরকারি কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা থাকে। সেই অনুযায়ী আমরা জেলায় জেলায় যাব। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আমাদের ডাকবেন, সেই মতো আমরাও পরিস্থিতি দেখতে যাব।’’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা চার-পাঁচটি সরকারি হাসপাতালের নাম ঠিক করেছি, যেখানে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা যাবেন। সেখানে জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়েই কর্মসূচি হবে। আমাদের যাঁরা বিরোধিতা করেন, তাঁদের রাজনীতির জন্য চিকিৎসা অপেক্ষা করতে পারে না। সরকারকে হেনস্থা করা চলতে পারে না।’’ মূলত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসেসিয়েশন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই অভিযোগ উঠেছিল। তাই শ্যামপুকুরের চিকিৎসক বিধায়ককে নতুন সংগঠন গড়ার দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করেন তিনি। আর শনিবার হল সেই সংগঠনের প্রথম বৈঠক। আর তাতেই কঠিন পরিস্থিতিতে পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।

TMC AITC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}