হাতি শুঁড়ে তুলে এক যুবককে আছাড় দিয়েছিল শিলাবতী নদীতে। তারপর ঠায় দাঁড়িয়েছিল পাড়েই। হাতির হাত থেকে বাঁচতে শীতের রাতে প্রায় এক ঘণ্টা নদীতে সাঁতার কাটলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার পিন্টু গুড়িয়া।
বছর বিয়াল্লিশের পিন্টুর বাড়ি গনগনির অদূরে আগরা অঞ্চলের ভিকনগর গ্রামে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাবা ধীরেনের সঙ্গে শিলাবতীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পিন্টু। সেই সময় দলছুট একটি হাতির সামনে পড়ে যান তাঁরা। ধীরেন ছুটে পালিয়ে গেলেও পিন্টুকে শুঁড়ে জড়িয়ে নদীর জলে আছাড় মারে দাঁতাল হাতিটি। রক্তাক্ত অবস্থায় নদীর জলেই পড়ে থাকেন পিন্টু।
হাতিও ছাড়ার পাত্র নয়। কখনও পাড়ে দাঁড়িয়ে, কখনও জলে কিছুটা নেমে চিৎকার করতে থাকে। জখম পিন্টুও নদীর জলে এদিক-ওদিক সাঁতরাতে থাকেন। ঘণ্টাখানেক পরে হাতি অন্যত্র সরে গেলে জল থেকে উঠে কোনও রকমে বাড়িতে যান পিন্টু। রাতে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাবা ধীরেন গুড়িয়া, প্রতিবেশী প্রকাশ মণ্ডলরা বলেন, ‘‘হাতির আক্রমণের পরেও সাহস করে নদীর জলে কখনও ডুবে, কখনও সাঁতার দিয়ে না থাকলে রেহাই পেত না পিন্টু। বন দফতরকে জানানো হয়েছে।’’ বনদফতরের গড়বেতা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার চঞ্চল গোস্বামী বলেন, ‘‘দফতর থেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির খবর নেওয়া হয়েছে। দলছুট হাতি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।’’
যাওয়ার আগে হাতিটি নদী পাড়ের একটি আশ্রম তছনছ করে পালায়।