পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
চোরাই মাল যারা কিনছে, তাদের গ্রেফতারির উপর জোর দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে নগরপাল অপরাধ কমাতে চোরাই মালের ক্রেতাদের পাকড়াও করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
লালবাজার সূত্রে খবর, এ দিন নগরপাল চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই বা গাড়ি চুরির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের অ্যান্টি মোটর থেফ্ট সেকশনের প্রসঙ্গ তোলেন। একটা সময় কলকাতায় মোটর সাইকেল চুরির সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছিল। সেই সময় গোয়েন্দা পুলিশের ওই শাখা, চোর ধরার পাশাপাশি ব্যাপক হারে চোরাই মোটর সাইকেলের ক্রেতাদের পাকড়াও করা শুরু করে। ফলে চোরাই মোটর সাইকেল কিনে বাংলাদেশে পাচারের যে সংগঠিত চক্র ছিল তা ভাঙা সম্ভব হয়। মোটর সাইকেল চুরির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
সূত্রের খবর, এ দিন নগরপাল ওই মডেলের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি গোয়েন্দা বিভাগ এবং থানার আধিকারিকদেরও পরামর্শ দেন, চোরাই মালের ক্রেতাদের পাকড়াও করতে।
আরও পড়ুন: পরাঠা-পরোটা, সওরভ-সৌরভ: ফ্লেক্স প্রচার শহর জুড়ে! ‘উস্কানি’ দেখছে বিজেপি, তৃণমূল চুপ
আরও পড়ুন:অভিনয় শেখানোর অছিলায় ধর্ষণের অভিযোগ, নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ধৃত
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে নগরপালের তিরস্কারের মুখে পড়েন ডিসি সেন্ট্রাল-সহ কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের বিভিন্ন থানার আধিকারিকরা। নগরপাল পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান যে, সেন্ট্রাল ডিভিশন গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যপারে কলকাতার অন্যান্য অংশের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। বহু পরোয়ানা পড়ে রয়েছে, কিন্তু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান নগরপাল। অবিলম্বে সেই সমস্ত বকেয়া পরোয়ানা কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে বলেন সিপি।
এ দিনের বৈঠকে কালীপুজো এবং দিওয়ালি নিয়েও আধিকারিকদের আরও সক্রিয় এবং সতর্ক নজর রাখতে বলেন তিনি। চাঁদা নিয়ে জুলুমের ক্ষেত্রে যে কলকাতা পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেবে তা ফের একবার মনে করিয়ে দেন অনুজ। সঙ্গে শব্দবাজি রুখতে এখন থেকে নাকা, টহলদারি এবং তল্লাশি বাড়াতে বলেন তিনি। পুজোয় ডিজে বাজানো বন্ধ রাখতে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার কথাও সিপি বলেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। কালীপুজো নিয়ে সামনের ২১ তারিখ সবিস্তারে বৈঠক করবেন নগরপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy