পানাগড়ের জাতীয় সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি। ছবি: বিকাশ মশান।
এমনিতেই যানজট লেগে থাকে দু’লেনের সরু রাস্তাটায়। মঙ্গলবার থেকে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সৌজন্যে সদ্য নামা বর্ষা এবং রাস্তা জোড়া অসংখ্য খানাখন্দ। কলকাতা থেকে দুর্গাপুর-বরাকর ছুঁয়ে দিল্লির দিকে চলে যাওয়া ২ নম্বর জাতীয় সড়কে কেবল ওই পানাগড় বাজারের সওয়া তিন কিলোমিটার পথ আজও দু’লেনের রয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় দার্জিলিং মোড় থেকে পানাগড় বাজার পেরিয়ে রেল সেতু পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করা যায়নি। ফলে, চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ের (ছ’লেন করার কাজ চলছে) যাবতীয় গতি ওই গিঁটে এসে আটকে পড়ে। বাধ্য হয়ে বাইপাস গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)।
আপাতত ওই রাস্তায় বাস ও গাড়ির যাত্রীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। একে গাড়ির সংখ্যার তুলনায় রাস্তা সরু। পানাগড় বাজারে ঢোকার আগে ক্যানালের সেতুটিও সংকীর্ণ। তার উপরে বর্ষায় গোটা অংশটা জুড়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। পানাগড় ছাড়িয়ে দু’দিকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকছে যানবাহন। মঙ্গলবার রাতে এমনই পরিস্থিতি হয় যে দশ মিনিটের রাস্তা যেতে কোনও-কোনও গাড়ির দু’তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিন দিন কেটে গেলেও সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
ভোগান্তি বেশি হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সের রোগী, বয়স্ক যাত্রী ও শিশুদের। দুর্গাপুর থেকে কলকাতাগামী বাসের যাত্রী দেবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জায়গাটা এমনিতেই বিভীষিকা। এখন তো আরও ভয়াবহ!’’ বাসচালক গুরুবক্স সিংহ বলেন, ‘‘এলাকাটা না পেরোনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, কতটা বাড়তি সময় লাগতে পারে। যাত্রীরা অধৈর্য হচ্ছেন।’’জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে বড়-বড় গর্তে তাপ্পি মারার কাজ শুরু হয়েছে। সংস্থার দুর্গাপুরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর কৃষ্ণমুরারী জানান, টানা বৃষ্টির জন্য দ্রুত রাস্তা মেরামত করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি থামলেই তড়িঘড়ি রাস্তা সারিয়ে ফেলা হবে। তবে এ দিন বিকেল থেকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্গাপুজোর আগেই পানাগড় বাইপাসের এক দিক খুলে দিয়ে যান চলাচল শুরু করা যাবে বলে এনএইচএআই আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy