এরপর আরও দু’টি টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। দ্বিতীয় টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘সকালের মতই রাতে আবার মারছে। সবার জীবন বিপন্ন। ভয়াবহ অবস্থা। থানায় ঢুকে মারছে।’ এর কয়েক মিনিট পরেই আক্রমণের অভিযোগ করে আরও একটি টুইট করেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় বিজেপির তাণ্ডব চলছে। বাইরে সাহায্য দরকার। পুলিশ প্রশাসন দেখুন। সাংবাদিকও রক্তাক্ত। পুলিশ আতঙ্কিত।’ আরও একটি টুইটে কুণাল লেখেন, ‘সায়নীকে নিরাপত্তার অভাবে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা থেকে অন্য থানায় (নাম লিখছি না) নিয়ে গেল পুলিশ। পূর্ব থানায় জীবন মরণ সমস্যা। বিজেপি সশস্ত্র। ঘিরে। সভা করছে। বাজি ফাটাচ্ছে। বোমা গুলির আওয়াজ ঢাকার চেষ্টা? জানি না আমরা বাঁচব কি না।’
ত্রিপুরাতেই রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল। রবিবার সায়নীর সঙ্গেই তিনিও আগরতলা-পূর্ব মহিলা থানায় যান। তার পর সেখানেই আটকে পড়েন। সকালে কুণালঅভিযোগ করেছিলেন, সুপরিকল্পিত ভাবে তাঁদের থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার ছক কষেছে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে লাঠি হাতে, হেলমেট মাথায় থানায় ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন কুণাল। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক রক্তাক্ত। ভাঙচুর চালানো হয়েছে থানা চত্বরে রাখা ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িতে। এমন হামলার প্রতিবাদে সোমবার তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তাঁরা।