প্রোমোটিং সংক্রান্ত বচসায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তর শহরতলির এক কর্মীকে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরাহনগরের এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার ওই দু’জনের কথোপকথনের অডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘দু’জনেই তোলাবাজ। এলাকার সর কে খাবেন, তা নিয়ে নিজেদের বচসা। আসলে তৃণমূল করা মানেই করে খাওয়ার ব্যবস্থা।’’
জানা গিয়েছে, বরাহনগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপ্রতিনিধির আত্মীয় রাহুল জানাকে দিনকয়েক আগে ফোন করেন বরাহনগর উত্তরের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি শঙ্কর রাউত। অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে একটি প্রোমোটিংয়ের কাজে কেন রাহুল বাধা দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন শঙ্কর। এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে রাহুল ও শঙ্করের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। রাহুলও দাবি করেন, তিনি কোনও কাজ বন্ধ করেননি। তবে, স্থানীয় পুরপ্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে কেন কাজ করা হবে? তাতে শঙ্করও ওই যুবককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পাল্টা হিসাবে রাহুল দাবি করেন, তাঁরা দু’জনেই তৃণমূল করেন। তাই তাঁকে হুমকি দিয়ে শঙ্কর ঠিক করছেন না।
এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘প্রথমত, আমি কোনও কাজে বাধা দিইনি। তা ছাড়া, এলাকায় শঙ্কর একনায়কতন্ত্র চালান। সাধারণ মানুষ থেকে পুরপ্রতিনিধিরাও ওঁর ভয়ে থাকেন।’’ তিনি জানান, চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে শঙ্কর বলেন, ‘‘যত দূর জানি, রাহুল বেলগাছিয়ায় থাকেন। সেখান থেকে দলবল নিয়ে বরাহনগরে এসে টাকা দাবি করে প্রোমোটিংয়ের কাজ বন্ধ করেছিলেন।’’ শঙ্করের আরও দাবি, ‘‘আমরা দল করি, তাই অভিযোগ পেয়ে ওঁকে সতর্ক করেছিলাম।’’ স্থানীয় বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শঙ্কর হুমকি দিয়ে থাকলে সেটা দলীয় স্তরে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রাহুলও দলের কর্মী। তাই ওই অডিয়ো বিরোধীদের হাতে কী ভাবে গেল, তা-ও দেখা দরকার।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)