প্রায় দশ মাস গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পরে অবশেষে ধরা পড়লেন একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রতন রায়চৌধুরী-সহ দুই কর্তা। শনিবার নাগপুরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে নদিয়ার চাকদহ থানার পুলিশ।
নদিয়ার পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘আমানতকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাটের বাসিন্দা ওই দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বিশাল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে ওই সংস্থার রাজ্যে বহু শাখা ছিল। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছিল সংস্থাটি। চাকদহ এলাকা থেকেই প্রায় দু’কোটি টাকার তুলেছিল। সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেও কিছু দিন ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছিল সংস্থাটি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে যায় সংস্থাটি। উধাও হয়ে যান কর্তারাও।
ওই মাসেই স্থানীয় সগুনা এলাকার বাসিন্দা অনুকূলঞ্জন সরকার সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে চাকদহ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আরও বহু অভিযোগ জমা হয়। পুলিশের দাবি, বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও সংস্থার কর্তাদের খোঁজ মেলেনি। এ দিকে, প্রতিশ্রুতি মতো টাকা না পেয়ে কয়েক মাস আগে এমডি-র বাড়িতে ভাঙচুরও চালান আমানতকারী, এজেন্টরা।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, ওই দুই কর্তা নাগপুরে আত্মগোপন করে রয়েছেন। নাগপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযান চালানো হয়। শনিবার গ্রেফতার করা হয় রতন রায়চৌধুরী এবং সুজিত আচার্যকে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৯ লক্ষ টাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিমুরালিতে সংস্থাটির পানীয় জলের কারখানা আছে। রয়েছে সুগন্ধী তেলের কাঁচা মাল জোগানের ব্যবসাও। সামনে এ সব থাকলেও আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল আমানত সংগ্রহের কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy