ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত রেলের নিয়ম ও সুবিধা মেনেই বাড়তি ট্রেন বরাদ্দ হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের মহাসমাবেশের জন্য। সল্টলেকে বুধবার ওই সমাবেশে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে কাশ্মীরের নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিরও হাজির থাকার কথা। সে দিনের সমাবেশে যাতায়াতের সুবিধার জন্য হাসনাবাদ ও বনঁগা থেকে দু’টি বাড়তি ট্রেন চালানো হতে পারে বলে রেল সূত্রের খবর। তবে জেলা সম্পাদক গৌতম দেব বিধাননগর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার যে দাবি করেছিলেন, তা মানা সম্ভব হচ্ছে না। বাড়তি ট্রেন শিয়ালদহ পর্যন্ত যাবে এবং সেখান থেকেই আবার ছেড়ে আসবে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের আর্জি নিয়ে রেল মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল মন্ত্রকের পরামর্শ মেনেই ঋতব্রত এবং জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য নেপালদেব ভট্টাচার্য ও পলাশ দাস দেখা করেছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএমের সঙ্গে। তাঁরা কথা বলেন পূর্ব রেলের দফতরে চিফ প্যালেঞ্জার ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজারের (সিপিটিএম) সঙ্গেও। রেলের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘বাড়তি এক জোড়া লোকাল ট্রেন দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে শিয়ালদহ পর্যন্ত গিয়েই সেই ট্রেনকে ফিরতে হবে।’’ রেলের তরফে সিপিএম নেতৃত্বকে বোঝানো হয়েছে, তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা যেন শিয়ালদহ গিয়ে ট্রেনে চাপেন।
গৌতমবাবুর যুক্তি ছিল, কাজের দিনে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন দিলে সাধারণ নিত্যযাত্রীরাই ট্রেন ভরিয়ে ফেলবেন! সমাবেশ-ফেরত লোকজন বিধাননগর থেকে সেই ট্রেনে উঠতে গেলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু বিধাননগরে ট্রেন রাখার কোনও প্ল্যাটফর্ম নেই। সেখানে কোনও ট্রেনের যাত্রা শেষ করা যে সম্ভব নয়, রেল তা-ই বোঝাতে চাইছিল প্রথম থেকে। শেষমেশ হাসনাবাদ ও বনগাঁ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্তই বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা হচ্ছে। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ অবশ্য বলেন, ‘‘রেলের তরফে এখনও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। শিয়ালদহ থেকে বাড়তি ট্রেন দিলেও আমাদের কর্মী-সমর্থকদের কিছু সুবিধা হবে।’’
আরও পড়ুন: জয়প্রকাশকে এ বার ‘প্রভাবশালী’ তকমা দিলেন সরকারি কৌঁসুলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy