অয়ন শীল। ফাইল চিত্র।
তাঁরা নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের সল্টলেক ও চুঁচুড়ার অফিস দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বলে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ। ধৃত অয়নের অফিসের এমনই দুই কর্মীকে তলব করে রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ থেকে রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, সল্টলেকের এফডি ব্লকে অয়নের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির মূল আখড়া। ওই অফিস থেকে শিক্ষায় বাঁকা পথে নিয়োগের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের বহু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি-র তদন্তকারীদের দাবি, অয়ন টালিগঞ্জে অনেক ছবি ও টিভি ধারাবাহিক প্রযোজনায় নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই যোগসূত্র ধরে সল্টলেকে অয়নের ওই অফিসে টলিউডের প্রথম সারির বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর নিয়মিত আনাগোনা ছিল।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কয়েক বছর ধরে অয়ন হুগলি তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসাজশে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ দুর্নীতির যে-চক্র চালাচ্ছিলেন, সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন হত তাঁর সল্টলেকের ওই অফিসেই। এ দিন যে-দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, ইডি-র দাবি, তাঁরা অয়নের সল্টলেক ও চুঁচুড়ার অফিস দেখভাল করতেন। সেখানে কারা যাতায়াত করতেন, কী ধরনের লেনদেন হত, তার কাগজপত্র কোথায় থাকত, কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে অয়নের যোগাযোগ ছিল— এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ওই দুই কর্মীকে ডাকা হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানান। ওই দুই কর্মীকে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং সম্পত্তির নথিও আনতে বলা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy