Advertisement
E-Paper

অর্ডার দিলেই হাজির ওঁরা, পাশে এ বার সিটু

অন্ন সংস্থানের জন্য রকমারি নতুন ধরনের কাজে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার যুবক-যুবতী। এঁদের সকলের কাজই চুক্তিভিত্তিক এবং সে চুক্তির অধিকাংশ শর্তই বেশ কড়া। আধুনিক সময় এবং আধুনিক শ্রমের সঙ্গে তাল রাখতে এ বার এই ধরনের কর্মীদের ডেকেই অভিনব কনভেনশনে যাচ্ছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু।

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০৪:১৪

বাড়িতে বা অফিসে বসে মোবাইলের অ্যাপে পছন্দের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনতে দিয়েছেন। ঘড়ি ধরে বাইক চালিয়ে আপনার হাতে খাবার তুলে দিয়ে গেলেন যে যুবক, তাঁর কাজের শর্ত আপনি জানেন?

বিমানবন্দর, স্টেশন বা যে কোনও গন্তব্যের জন্য অ্যাপ থেকেই ডেকে নিয়েছেন গাড়ি। বাড়ির দরজা থেকে তুলে যানজট ঠেলে অ্যাপ-ক্যাবের যে চালক আপনাকে দ্রুত পৌঁছে দিলেন, তাঁর পাওনার হিসেব জানেন?

রিমোট চেপে পছন্দের চ্যানেল ঘুরিয়ে ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেখেছেন আকছার। চ্যানেলের পর্দায় ‘ব্রেকিং’ খবর তুলে দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বাইক চালিয়ে ক্যামেরার চিপ স্টুডিওয় পৌঁছে দেন যে ‘রাইডার’, তাঁদের কথা জানেন?

জানেন না অনেকেই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বদলে গিয়েছে কাজের দুনিয়া। অন্ন সংস্থানের জন্য রকমারি নতুন ধরনের কাজে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার যুবক-যুবতী। এঁদের সকলের কাজই চুক্তিভিত্তিক এবং সে চুক্তির অধিকাংশ শর্তই বেশ কড়া। আধুনিক সময় এবং আধুনিক শ্রমের সঙ্গে তাল রাখতে এ বার এই ধরনের কর্মীদের ডেকেই অভিনব কনভেনশনে যাচ্ছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। তৃণমূলের দাপট এবং বিজেপির উত্থানে নির্বাচনী শক্তি হিসেবে বামেদের অস্তিত্বই যখন সঙ্কটে, সেই সময়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা চেষ্টা করছেন নিজেদের কাজের ধারাকে নতুন সময়ের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। শহরে সূর্য সেন স্ট্রিটে কাল, মঙ্গলবার তাই বসছে ‘ইয়ং ওয়ার্কার্স কনভেনশন’।

মাসতিনেক আগে বেঙ্গালুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কর্মীদের নিয়ে কনভেনশন করে ভাল সাড়া পেয়েছে সিটু। তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রেও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একাংশ বাম শ্রমিক সংগঠনের দিকে আসছেন। বাংলায় তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশিই অ্যাপ-নির্ভর পরিষেবা কর্মী, শপিং মলের কর্মী বা কেব্‌ল পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তিদের ডেকে মত বিনিময় করতে চাইছেন সিটু নেতৃত্ব। অসংগঠিত ক্ষেত্রের এই বিপুল সংখ্যক কর্মী কোনও শ্রমিক সংগঠনের ছাতার তলায় নেই। সিটু নেতৃত্বের দাবি, কনভেনশনে এলেই সিটুর সদস্যপদ নিতে হবে— এমন মোটেও নয়। কাজের সমস্যা কোথায়, তা বুঝে কর্মীদের অধিকার আদায়ে পাশে দাঁড়ানোই প্রধান উদ্দেশ্য।

সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমাদের সম্মেলনে স্লোগান হয়েছিল— ‘রিচ দ্য আনরিচ়্ড’। সেই লক্ষ্যেই কলকাতা জেলা সিটুর উদ্যোগে এই আয়োজন হচ্ছে।’’ প্রশ্ন হল, যে সব ক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনই নেই, সেখানে কনভেনশনের খবর পৌঁছবে কী করে? সিটুর প্রথম ভরসা এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া। আর সুভাষবাবুর সংযোজন, ‘‘আগে হলুদ ট্যাক্সি চালাতেন, ভাল পয়সা পাবেন ভেবে অ্যাপ-ক্যাব চালাতে গিয়েছেন, এমন অনেকে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের মাধ্যমেও যোগাযোগ হচ্ছে।’’

সেক্টর ফাইভে কয়েক বছর আগে আইটি অ্যাসোসিয়েশন করেও হালে পানি পায়নি সিটু। সিপিএমের প্রবীণ নেতা শ্যামল চক্রবর্তী অবশ্য বলছেন, ‘‘সঙ্কটে পড়লে তখন সংগঠনের গুরুত্ব বোঝা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও কর্মীরা এখন সাড়া দিচ্ছেন।’’

CITU Social Media Young Workers Convention Reach the unreached সিটু
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy