রাজ্য পুলিশের থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীদের ডিউটির সময়ে দেহ ক্যামেরার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশের কিছু কর্মী ডিউটির সময়ে এমন ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ বার রাজ্যের থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের জন্য তা বাধ্যতামূলক করতে চাইছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।
সূত্রের খবর, এর জন্য প্রায় সাত কোটি টাকা খরচ করে সাড়ে ১১ হাজার দেহ ক্যামেরা কিনতে চলেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। যা কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। পুলিশকর্তাদের আশা, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেই ওই দেহ ক্যামেরা চলে আসবে। নজরদারি এবং নিরাপত্তার কাজে কার্যকর ওই ক্যামেরা হাতে এলেই জেলা পুলিশ এবং পুলিশ কমিশনারের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। ক্যামেরাগুলি লাগানো থাকবে ওসি বা আইসি-দের সঙ্গে সাধারণ পুলিশের পোশাকে।
এক পুলিশকর্তা জানান, ডিউটির সময়ে পুলিশকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার-সহ নানা অভিযোগ ওঠে। সে ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে, তা ওই দেহ ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানতে পারা যাবে। এর ফলে তদন্ত করতে সুবিধে হবে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ প্রথম ওই দেহ ক্যামেরার ব্যবহার শুরু করে। এর পরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশের তরফে তাদের এলাকার কর্মীদের জন্য ওই ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হয়। কিছু দিন আগে জেলায় জেলায় যান-শাসনের সঙ্গে যুক্ত পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হয়েছে ওই দেহ ক্যামেরা। এ বার ট্র্যাফিক এবং থানায় কর্মরত পুলিশকর্মীদের ব্যবহারের জন্য নতুন করে ওই ক্যামেরা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে যে কোনও ঘটনায় ডিউটি করার সময়ে পুলিশকর্মীদের দেহে থাকা ক্যামেরা অন রাখা বাধ্যতামূলক করেছে বিভিন্ন জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেট। সূত্রের দাবি, ওই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কমে এসেছে। কারণ, ক্যামেরা অন থাকলে ছবির সঙ্গে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত পক্ষের কথোপকথনও রেকর্ড হয়ে থাকছে। যা তদন্তে কাজে লাগে। বর্তমানে ওই দেহ ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিদিনের ফুটেজ নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে সংরক্ষণ করা যায় এবং সময় মতো যাতে তা সহজে পাওয়া যায়, সে জন্য আগামী দিনে দেহ ক্যামেরা নিয়ে কার্যবিধি প্রকাশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)