Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের পর এ বার বিজেপি-তেও ক্ষোভের মুখে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল

শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দিনই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন প্রবীববাবুর পুরনো দলের কর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৫১
উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে এ ভাবেই সরব হলেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ।

উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে এ ভাবেই সরব হলেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গিয়েও ‘স্বস্তিতে’ নেই উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। প্রবীরবাবুকে শিশু পাচারকারী আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, ফেরিঘাট ইজারা পাইয়ে দিয়ে কাটমানি নেওয়া অথবা কোন্নগর পুরসভার লজে মধুচক্র চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগও তুললেন বিজেপি-র ওই কর্মীরা। এমনকি, ‘উত্তরপাড়ার বিধায়ক বিজেপি থেকে দূর হটো’-র মতো স্লোগানও লেখা হয়। তবে সে সবের তোয়াক্কা না করে প্রবীরবাবুর দাবি, বিজেপি কর্মীরা নন, তৃণমূলই এ সব করিয়েছে। যদিও প্রবীরবাবুর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের নেতারা।

শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দিনই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন প্রবীববাবুর পুরনো দলের কর্মীরা। উত্তরপাড়ায় তাঁর পোস্টারে কালি লেপে লেখা হয়েছিল, ‘গদ্দার মীরজাফর’। মঙ্গলবার নতুন দলেও প্রায় একই ধরনের প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। তবে প্রবীববাবু বলেন, “আমি মানুষের ভোটে বিধায়ক হয়েছি। কোনও দলের ভোটে নয়।”

মঙ্গলবার মঙ্গলবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রবীরবাবুকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দাবি, “আমি পারলে বিধায়ক পদ এখনই ছেড়ে দিতে রাজি। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সেটা করতে পারছি না। শুধু উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা নন, পাশের বিধানসভার লোকজনও আমার কাছে আসেন। গরিব মানুষরা অভিযোগ করে, তৃণমূল বিধায়কের কাছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতেও পঞ্চাশ টাকা ঘুষ দিতে হয়।”

ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভকেও পাত্তা দিতে নারাজ প্রবীরবাবু। উল্টে তাঁর অভিযোগ, “উত্তরপাড়ায় আমার ছবিতে যারা কালি লাগিয়েছিল, সেই সব তৃণমূল কর্মীরাই এ সব করছেন।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “ডুমুরজলা থেকে ফেরার পর বিজেপি কর্মীরা যে ভাবে আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত।”

ফেসবুকে প্রবীরবাবুর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “লোভী মানুষরা শেষ পর্যন্ত ভোগ করে। তাই প্রবীরবাবু বিধায়ক পদ ছাড়েননি। আর তৃণমূল কর্মীরা পোস্টার মারেননি। কারণ তাঁদের অন্য অনেক কাজ রয়েছে।”

BJP TMC Facebook Uttarpara Prabir Kumar Ghosal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy