বিমানবন্দর থেকে চিতাভষ্ম নিয়ে বেরোচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ দলীয় নেতারা। —নিজস্ব চিত্র
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম এল রাজ্যে। বিমানবন্দর থেকে মিছিল এবং মোটরকেড সহযোগে অস্থিকলস পৌঁছল বিজেপি সদর কার্যালয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকেই যাত্রা শুরু হবে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। শুক্রবার সকালে সাগরে বিসর্জন দেওয়া হবে অটলের চিতাভস্ম।
বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের হাতে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম তুলে দেন। অস্থিকলস নিয়ে দুপুর আড়াইটের উড়ানে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। বিকেল পাঁচটা নাগাদ অস্থিকলস নিয়ে দমদম বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। আগে থেকেই বিমানবন্দরে ছিলেন দলের রাজ্য নেতারা। বিমানবন্দরে গিয়েই অস্থিকলসে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
বিমানবন্দর থেকে মিছিল এবং বড়সড় মোটরকেড নিয়ে বিজেপি সদর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন দিলীপ ঘোষরা। ছিলেন মুকুল রায়, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা দেবশ্রী চৌধুরীরা। ঠিক ছিল, নাগেরবাজার থেকে যশোর রোড ধরে শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর কার্যালয়ে পৌঁছবে অস্থিকলস। কিন্তু পাতিপুকুর রেলব্রিজের নীচে আটকে যায় ট্যাবলো হিসেবে সাজানো গাড়ি।
বিমানবন্দরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্মে শ্রদ্ধা জনাচ্ছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: কোন্দল সামলাতে নয়া ফর্মুলা, পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই ‘দলনেতা’ বসাচ্ছে তৃণমূল
পথ বদলে লেকটাউন, উল্টোডাঙা, মানিকতলা হয়ে শ্যামবাজার পৌঁছয় অস্থিকলস যাত্রা। সেখান থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে দলীয় দফতর। বিমানবন্দর থেকে গোটা এই পথ পরিক্রমা করতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। রাত আটটা নাগাদ এদিনের মতো শেষ হয় কর্মসূচি। পথে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই জনসমাগম হয়। শ্রদ্ধা জানান অনেক সাধারণ মানুষও।
বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাখা হয়েছে অস্থি কলস। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: সারদা কাণ্ডে রাজীব কুমার-সহ পুলিশ কর্তাদের জেরা করতে চায় সিবিআই
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ফের শুরু হবে অস্থিকলস যাত্রা। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে এই অস্থিকলস যাত্রায় যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সকাল আটটা থেকে যাত্রা শুরু হবে। বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধা জানাবেন সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যার দিকে চিতাভস্ম পৌঁছবে গঙ্গাসাগরে। রাতে সেখানেই থাকবেন দলের নেতারা। এর পর শুক্রবার সকালে সাগরে চিতাভস্ম বিসর্জন দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy