E-Paper

‘ভাড়া করা’ চতুর্থ শ্রেণির কর্মীই ভরসা মাধ্যমিকে

মাধ্যমিকের আগে এতে আতান্তরে পড়েছেন বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের কাজের জন্য অন্য বিভাগের কর্মীদের অস্থায়ী ভাবে নেওয়া হচ্ছে।

গোপাল পাত্র

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৫
Picture of students giving examination.

পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব সামলানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পারিশ্রমিক দিয়ে ‘ভাড়াটে’ কর্মী রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। ফাইল চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষা সামাল দেওয়ার জন্য ‘ভাড়াটে’ কর্মী রাখতে হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সৌজন্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের রায়।

মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে এগিয়ে থাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। আবার শিক্ষা দুর্নীতিতেও বারে বারে এই জেলা আলোচনায় এসেছে। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (গ্রুপ-ডি) নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি হাই কোর্ট এক হাজার ৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের রয়েছেন ৪০৬ জন। মাধ্যমিকের আগে এতে আতান্তরে পড়েছেন বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের কাজের জন্য অন্য বিভাগের কর্মীদের অস্থায়ী ভাবে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব সামলানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পারিশ্রমিক দিয়ে ‘ভাড়াটে’ কর্মী রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।

জেলার বিভিন্ন স্কুলে এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। এগরা মহকুমায় সেই ছবি আরও স্পষ্ট। কারণ, এই মহকুমায় অন্তত ৭৮ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এগরা মহকুমায় এ বারে ২৪টি স্কুলে মাধ্যমিকের কেন্দ্র পড়েছে। যার মধ্যে এগরার আটটি স্কুল, পটাশপুরের ন’টি স্কুল এবং ভগবানপুরের সাতটি কেন্দ্র রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশের পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরি খোয়ানো বহু কর্মী স্কুলে আসছেন না বলে দাবি একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের। অথচ মাধ্যমিক সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে এই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বেঞ্চে রোল নম্বর সাঁটানো থেকে শুরু করে পরীক্ষকদের পানীয় জলের ব্যবস্থা, কেউ অসুস্থ হলে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়ার মতো দায়িত্ব সামলান এই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরাই।

পটাশপুরের গোপালপুর রাখাল ইউনিয়ন বিদ্যালয়ে তিন জন গ্রুপ-ডি কর্মী ছিলেন। এক জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। ওই স্কুলে পরীক্ষার চাপ সামলাতে কারিগরি বিভাগের এক কর্মীকে গ্রুপ-ডির কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় কাজের একটু সমস্যা হচ্ছে। পরীক্ষার চাপ সামলাতে কারিগরি বিভাগের এক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।’’ ভগবানপুরের একটি স্কুলে পারিশ্রমিক দিয়ে পরীক্ষার জন্য এক জনকে কাজে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র অবশ্য বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি। তবে যদি কোনও স্কুল এমন সমস্যায় পড়ে, তা হলে পাশের স্কুল থেকে গ্রুপ-ডি কর্মী নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Madhyamik Examination 2023 Recruitment Scam Calcutta High Court

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy