—ফাইল চিত্র।
রাজভবন থেকে পরপর দু'দিন চিঠি। সেই চিঠি পেয়ে উপাচার্যেরা অপমানিত, ক্ষুব্ধ, বিস্মিত, দুঃখিত। পরিস্থিতি এমন, আজ বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড় উপাচার্যদের সঙ্গে যে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করতে চাইছেন, তাতে উপাচার্যদের না থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। কিছু দিন আগে উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু নতুন বিধি অনুযায়ী এই চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে উপাচার্যদের কাছে যায়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালকে নিয়েছিলেন উপাচার্যরা।
এরপর সোমবার আরও একটি চিঠি রাজভবন থেকে পাঠিয়ে বলা হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত না থাকলে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। মঙ্গলবার আবার রাজভবন থেকে চিঠি পান উপাচার্যেরা। সেখানে বলা হয়েছে ৭ জুলাই উপাচার্যদের কাছ থেকে কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন আচার্য। কিন্তু কোনও উপাচার্য সেই চিঠির উত্তর দেননি। এদিন ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ছাত্রদের স্বার্থে রাজ্যপাল যা জানতে চেয়েছিলেন তা কোনও উপাচার্যই উত্তর দেননি। উপাচার্যরা খুব তাড়াতাড়ি জানাবেন, কেন তাঁরা উত্তর দিতে পারলেন না। এরপর আচার্য হিসাবে যা করণীয় তা তিনি করবেন।
উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক সুবীরেশ ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে এ দিন জানিয়েছেন, ‘‘উপাচার্যেরা নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করেন। আচার্যের কাছ থেকে এই ধরনের চিঠি তাঁদের কাছে একেবারেই কাম্য নয়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে ভাষায় চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে আমরা অপমানিত, ক্ষুব্ধ।’’
এ দিন টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, উপাচার্যদের অবশ্যই আচার্যের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। তিনি বুধবারের ভার্চুয়াল বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy