প্রয়াত হলেন সিপিএম নেতা এবং এসএফআইয়ের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নেপালদেব ভট্টাচার্য (৭৪)। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন আগে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানই সোমবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে নেপালদেব যখন সাধারণ সম্পাদক, সেই সময়ে সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন এম এ বেবি এবং সহ-সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ছাত্র আন্দোলনের সতীর্থের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বেবি মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এসে বারাসতে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দফতরে নেপালদেবের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পরে গিয়েছিলেন ভাটপাড়ায় শোক-মিছিলেও।
ছাত্র আন্দোলনের সময়ে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেতৃত্বে সতীর্থ নেপালদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের খবর পেয়ে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি। —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসে বাম সংগঠনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেপালদেব, ছিলেন সুবক্তা। বঙ্গ সিপিএমের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যসভায় সাংসদ ছিলেন দীর্ঘ দিন। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আবার সিপিএমে ফিরে আসার নজির স্মরণযোগ্য কালের মধ্যে তাঁরই ছিল। পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমে কাজ করেছেন, শ্রমিক সংগঠন সিটুর সড়ক পরিবহণ ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন আগে। নেপালদেবের মরদেহ এ দিন কলকাতায় শ্রমিক ভবনে আনা হলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়েরা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিমান বসু, মহম্মদে সেলিম-সহ দলের রাজ্য নেতৃত্ব। ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবন ঘুরে নিয়ে নেপালদেহের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর বেলগাছিয়ার বাড়িতে। তার পরে বারাসতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বেবি, গৌতম দেব প্রমুখ। ব্যারাকপুরে জেলা সিটু দফতর হয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাটপাড়ায়। যেখানে নেপালদেবের আদি বাড়ি ও প্রথম কর্মক্ষেত্র, সেখানেই হয়েছে শেষকৃত্য।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)