Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Radhikaranjan Pramanik

মথুরাপুরের ৫ বারের সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক প্রয়াত, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর  

সাংসদ হওয়ার আগে দু’দফায় পর পর তিন বার  করে মোট ছ’বার মগরাহাট পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন রাধিকারঞ্জন।

রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক। —ফাইল চিত্র

রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মথুরাপুর শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:০৯
Share: Save:

প্রয়াত হলেন একদা সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ৮৮ বছর বয়সে রবিবার ভোরে মথুরাপুরের ৫ বারের সাংসদের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারকে জানিয়েছেন সমবেদনা।

মথুরাপুর লোকসভা থেকে ১৯৮৯ থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাম প্রার্থী হিসেবে টানা পাঁচ বার জিতেছেন রাধিকারঞ্জন। কিন্তু ২০০৩ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন এবং পরের বছর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০০৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে মথুরাপুর থেকে দাঁড়ালেও জিততে পারেননি। হেরে যান বাম প্রার্থী বাসুদেব বর্মনের কাছে। তার পরে আর টিকিট পাননি। সাংসদ হওয়ার আগে দু’দফায় পর পর তিন বার করে মোট ছ’বার মগরাহাট পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন রাধিকারঞ্জন।

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গণিতের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান রাধিকারঞ্জনের দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে অবশ্য তাঁকে ঘিরে বিতর্কও হয়েছে। ২০০৩ সালের মে মাসে দুর্নীতি এবং দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম। যদিও রাধিকারঞ্জনের অভিযোগ, সাসংদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা পার্টির কাজে লাগাতে চেয়েছিল দল। সেই টাকা না দেওয়াতেই দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে কারা রাজ্যের এই তিন আইপিএস অফিসার

আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে কত ঘণ্টা, কবে বাড়ি যাব? বুদ্ধদেবের প্রশ্ন চিকিৎসকদের

রাধিকারঞ্জনের প্রয়াণে শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাধিকা তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মানুষের সেবা করেছেন। পরিণতন বয়সে প্রথাগত বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোদ দিয়ে বৃহত্তর গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছিলেন। সেই সূত্রে তিনি আমার ঘনিষ্ঠ দলীয় সহকর্মী ছিলেন।’’ দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনীতিক রাধিকারঞ্জনের মৃত্যু রাজনীতির জগতে বড় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেছেন মমতা।

শেষ জীবনে অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না রাধিকারঞ্জনের। থাকতেন সল্টলেকে। দলীয় কাজকর্মের তেমন খোঁজখবরও রাখতেন না বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। ছিল শারীরিক অসুস্থতাও। দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Radhikaranjan Pramanik TMC CPM Mathurapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE