E-Paper

সব বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠক ডাকতে পারে: রাজ্যপাল

রাজভবন থেকে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসেবে ১৯৭৯ সালের আইন অনুসারে কোর্ট অথবা সেনেট বৈঠকের পৌরোহিত্য করতে পারেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:১৫
CV Ananda Bose.

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে আগেই জানানো হয়েছিল।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৯ অনুসারে উপাচার্যেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট, সিন্ডিকেট বা কর্মসমিতি, কোর্ট-সহ নীতিনির্ধারক কোনও কমিটির বৈঠক ডাকতে পারেন বলে এ বার রাজভবন রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদেরও জানাল। সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক হয়।

পাশপাশি, জট কাটিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন যাতে হয়, তা নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে খোলা চিঠি দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)।

রাজভবন থেকে অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসেবে ১৯৭৯ সালের আইন অনুসারে কোর্ট অথবা সেনেট বৈঠকের পৌরোহিত্য করতে পারেন। অথবা উপাচার্যকে ওই বৈঠক ডাকার সম্মতি দিতে পারেন। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিধি ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।

উচ্চ শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের মত, ১৯৭৯ সালের নিয়ম অনুযায়ী রাজভবন থেকে যা বলা হচ্ছে, তা স্থায়ী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। উচ্চ শিক্ষা দফতর অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের ২০১৯ সালের বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট অথবা কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারেন না বলে বারবারই জানাচ্ছে। ২০১৯ সালের এই বিধি তৈরি হয়েছে ২০১৭ সালের আইন অনুযায়ী। উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে বৈঠক ডাকা হলে, বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা।

এ দিকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধের ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্মসমিতির বৈঠক ডাকছেন না। অথচ সমাবর্তন নিয়ে কর্মসমিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জুটার সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, ‘সমাবর্তন যে কোনও ছাত্রছাত্রীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য পরম্পরায় দীর্ঘদিন ধরে তা চলে আসছে। ছাত্রছাত্রীদের আবেগ ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বৈধ ডিগ্রি ও শংসাপত্র তাঁরা যাতে যথাসময়ে পান, তার জন্য আপনাদের সকলের কাছে আমরা শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CV Ananda Bose West Bengal university

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy