দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক ভিলেজ পুলিশ। গুলি লাগে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সিভিক ভলান্টিয়ারের। পুলিশের দু’টি বাইক ভাঙচুর করে পোড়ানো হয়। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির পোলপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী কেদার সর্দারের বিরুদ্ধে। কেদার-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ রাজ্যে পুলিশের উপরে হামলা নতুন নয়। থানায় ভাঙচুর, এমনকি দুষ্কৃতীদের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকোতে হয়েছে পুলিশকে। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা যে দলেরই হোক, পুলিশকে বলেছি, কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’ মূল অভিযুক্ত কেদারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র দাবি, এক সময়ে সিপিএমের ছত্রচ্ছায়ায় ছিল, পরে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু কেদারের স্ত্রী শিবানী তো তৃণমূলের টিকিটেই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জিতেছেন! তা হলে কেদারের সঙ্গে কী যুক্তিতে ঘনিষ্ঠতা এড়াবেন শাসক দলের নেতারা? এক নেতার কথায়, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় কেদারের।’’ শিবানীর ফোন বন্ধ ছিল, যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ-খুনের ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত বলে মানতে চায়নি বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকের হাতে খুন হওয়ায় এখন ওরা আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, সন্দেশখালির গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরে তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে গোলমাল চলছিল। বিজেপির সঙ্গেও ঝামেলা বাধছিল। পুরনো বিবাদের সূত্রে শুক্রবার রাতে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। বোমা-গুলির লড়াই শুরু হয়। বিনোদ হাউলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরি চালায় দুষ্কৃতীরা। জখম হন আরও এক। গোলমাল থামাতে রাত ১১টা নাগাদ ৪টি বাইক নিয়ে নৌকোয় কলাগাছি নদী পেরিয়ে পোলপাড়ায় পৌঁছয় আট জন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ।
বাইক নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে এগোতেই পুলিশের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে বলে অভিযোগ। বাইক থেকে পড়ে যান কয়েক জন। রক্তাক্ত অবস্থায় নদীর দিকে দৌড় দেন পুলিশকর্মীরা।