উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। খগেন রক্তাক্ত হয়েছিলেন। চোট পেয়েছিলেন শঙ্করও। এ বার উত্তরবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিকেও ঘিরেও বিক্ষোভ দেখা গেল। খগেন, শঙ্করদের মতো আক্রমণের মুখে না পড়লেও ক্ষোভ এড়াতে পারলেন শুভেন্দুও! তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে না পেরে বিজেপির দেওয়া ত্রাণই ফেরত দিয়ে চলে গেলেন গ্রামবাসীদের অনেকে।
টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার গাধেয়ারকুঠি, কুরসামারি, বগুড়িবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধূপগুড়ির গাধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরসামারি ও বগুড়িবাড়ি গ্রামের হোগলাপাতা এলাকায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু এলাকায় পৌঁছোতেই সেখানে জড়ো হন বহু বানভাসি মানুষ। তাঁদের অনেকে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। কথা বলার সুযোগ না পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘আমরা সব হারিয়েছি। শুধু চাইছিলাম উনি আমাদের মুখে শুনুন আমাদের দুঃখের কথা। কিন্তু সেই সুযোগও পেলাম না।” এর পরেই ত্রাণসামগ্রী ফিরিয়ে দেন দুর্গতেরা।
বিজেপি দাবি, এই বিক্ষোভ পরিকল্পিত ছিল। দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি শ্যামল রায় বলেন, “তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী মানবিক উদ্যোগেই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে রাজনীতির কোনও প্রশ্নই ছিল না।”
পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, ‘‘দুর্গত মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী প্রশাসনের সমন্বয় ছাড়াই ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। রাজ্য সরকার যথাযথ ভাবে দুর্গতদের সাহায্য করছে এবং ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।”