Advertisement
E-Paper

সন্দেশখালিতে নয়া উত্তাপ, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানের সামনে শুয়ে ক্ষোভ

শুক্রবার সন্দেশখালিতে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষে একটি দল সন্দেশখালিতে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৬

ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

সন্দেশখালিতে পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকা থেকে তাঁদের স্বামী এবং ছেলেদের তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও রয়েছে।

শুক্রবার সন্দেশখালিতে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষে একটি দল সন্দেশখালিতে যায়। তাঁদের সেই সফরের মধ্যেই নতুন উত্তেজনা। গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙচুড়ের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে। বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রথমে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকানো হয়। এর পর এক মহিলা পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁকে পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার পরেই বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা গ্রামের মহিলাদের নিয়ে রাস্তার উপরে বসে পড়েন। পুলিশ সেই প্রতিরোধ সরিয়ে দিতে গেলে তৈরি হয় উত্তেজনা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান ফাল্গুনী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘গ্রামের মহিলারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন, তাঁদের হাতে লাঠিও ছিল না। পুলিশ নির্মম ভাবে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে তুলে দেন। এক মহিলার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় পুলিশের গাড়ি।’’ ফাল্গুনী আরও বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে নিরপরাধদের উপর অত্যাচার করছে। পরীক্ষা চলার মধ্যে এক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে ছেলেটি খেতে বসেছিল।’’ যদিও পুলিশ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রস

প্রসঙ্গত, বেড়মজুরে শুক্রবার সকাল থেকে তৈরি হওয়ার পর বেলার দিকে সেখানে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার যান। এলাকা ঘুরে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘‘আইন নিজের হাতে নিলে আমরা গ্রেফতার করব। কেউ আইন অমান্য করেছেন মানে পাল্টা কেউ আইন নিজের হাতে নেবেন, তা হবে না। কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। যা পদক্ষেপ করার আমরা করব।’’

এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেশখালির বেড়মজুরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়। গ্রামের মহিলারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কেন তার বাড়ির লোকজনকে নিয়ে যাচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, ‘‘কথা বলবে বলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। লকেটের নেতৃত্বে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধিদের একটি দল সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সন্দেশখালি থেকে অনেকটা দূরে ভোজেরহাট এলাকাতেই আটকে দওয়া হয়। লকেটের অভিযোগ ছিল, পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধার মুখে পড়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। এর পরেই তাঁকে আটককে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় বলে ফেসবুকে জানান বিজেপির সাংসদ নিজেই। লকেট লিখেছিলেন, ‘‘এই রাজ্যে শাহজাহান শেখদের গ্রেফতার করা হয় না। কিন্তু সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে গ্রেফতার করা হয়।’’

Sandeshkhali Incident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy