Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Rabindra Nath Ghosh

‘দলের সকলকে ল্যাং মেরেছেন’, কোচবিহার জেলা সভাপতিকে খোঁচা তৃণমূলেরই প্রাক্তন মন্ত্রীর

এককালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ এই মুহূর্তে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। অন্য দিকে, পার্থপ্রতিম কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (বাঁ-দিকে) এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (বাঁ-দিকে) এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২২ ২১:৩৮
Share: Save:

নিজের দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এ বার তাঁর দাবি, তৃণমূলে থেকে দলের সকলেরই ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন পার্থপ্রতিম। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া এড়ালেও রবীন্দ্রনাথকে ‘বড় নেতা’ বলে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পার্থপ্রতিম।

প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক মহলে দু’জনের ‘কাকা-ভাইপো’ নামে পরিচিতি রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে একটানা তরজায় আবার সরগরম জেলার রাজনীতি। এককালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ এই মুহূর্তে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। অন্য দিকে, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন পার্থপ্রতিম। রবিবার কোচবিহারে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে পার্থপ্রতিমকে আক্রমণ করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘‘একটা লোক কাকে ল্যাং মারেনি? আমাকে ল্যাং মারল, ঠিক আছে। মিহির গোস্বামীকে ল্যাং-ই শুধু মারল না, তাঁকে দল থেকে তাড়াল। তার পর বিনয় বর্মণের ঘাড়ে চেপে বসল। তাঁকেও দল থেকে তাড়াল। এর পর ঠাকুর নিজেই আসনে বসলেন। গিরিনবাবু সকলকে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন। কখন তাঁর ফিতে কেটে দিয়েছে, তিনি তা টেরও পাননি। এর পর আবার নিজে আসনে বসে শুরু হয় বিভিন্ন দাবিদাওয়া।’’ রবীন্দ্রনাথের দাবি, ‘‘যদি তাঁকে (পার্থপ্রতিমকে) সন্তুষ্ট করা না যায়, তা হলে ভবিষ্যতে পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া যাবে না।’’

শনিবারই পার্থপ্রতিমকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তকমা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তার পরের দিন রবীন্দ্রনাথের এ হেন মন্তব্যে কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে নারাজ পার্থপ্রতিম। যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তৃণমূলের রাজ্যস্তরের বড় নেতা। তিনি যা বলছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। আমি দলের এক জন সামান্য কর্মী। তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো আমার সাজে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE