Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘পাশ না করলে আমি মরে যাব, স্যার, তারপর কেস করে দিবে’

কেউ লিখেছে, পাশ না করলে মরে যাবে। কেউ আবার পাশ না করলে কেস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আবার কেউ এক ধাপ এগিয়ে পাশমার্ক দিয়ে দিলে বাড়ির ঠিকানায় কয়েক হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও লিখেছে। 

বাড়ির ঠিকানায় কয়েক হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব।

বাড়ির ঠিকানায় কয়েক হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৩
Share: Save:

কেউ লিখেছে, পাশ না করলে মরে যাবে। কেউ আবার পাশ না করলে কেস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আবার কেউ এক ধাপ এগিয়ে পাশমার্ক দিয়ে দিলে বাড়ির ঠিকানায় কয়েক হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও লিখেছে।

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রের পাতায় পাতায় এমন সব প্রস্তাব এবং হুমকি শিক্ষকেরা পাচ্ছেন বলে দাবি। জলপাইগুড়ি জেলার বহু শিক্ষকের কাছে যে উত্তরপত্র পৌঁছেছে তাতে আপত্তিকর অনেক শব্দও রয়েছে বলে অভিযোগ।

নকল করার চিট খাতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া অথবা পাশমার্ক দিয়ে দেওয়ার জন্য উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর কাতর আবেদনের প্রবণতা পুরোনো বলেই শিক্ষকদের একাংশের মনে করেন। তবে এ ভাবে শিক্ষকদের ‘কেস’ দেওয়ার হুমকি অথবা মোটা টাকার ‘টোপ’ দেওয়ার প্রবণতা আগে দেখা যায়নি বলে দাবি পরীক্ষকদের।

জলপাইগুড়ি শহরেরই এক হাইস্কুল শিক্ষক মাধ্যমিকের ইতিহাসের উত্তরপত্র দেখছেন। উত্তরপত্রের নম্বর লেখার জায়গায় নীল কালি দিয়ে পরীক্ষার্থী লিখেছে, ‘‘আমি পাশ না করলে আমি মরে যাব। স্যার, তারপর কেস করে দিবে।’’ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার উত্তরপত্রে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ফাটাপুকুরের এক শিক্ষক সরাসরি হুমকি পেয়েছেন বলে দাবি। দাবি, উত্তরপত্রে লেখা রয়েছে, ‘আমি পাশ না করলে বিপদ আসবে আপনার।’

এক ছাত্রী পাশ করার জন্য বিয়ের দোহাইও দিয়েছে। এক শিক্ষকের দাবি, মাধ্যমিকের বিজ্ঞানের উত্তরপত্রে ছাত্রীটি লিখেছে, মাধ্যমিক পাশ না করলে তার বিয়ে আটকে যাবে। শিক্ষকদের দাবি, সব কিছুকে টেক্কা দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার একটি উত্তরপত্র। সেখানে সরাসরি লেখা রয়েছে, ‘‘পাশ করিয়ে দেন স্যার। ঠিকানা দিলে ৩০০০ টাকা দেব। প্রমিস।’’ ওই শিক্ষকের কথায়, “এমন তো কত কী পেয়ে থাকি। সেগুলিকে অগ্রাহ্যই করে থাকি।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জলপাইগুড়ি জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজনের যুগ্ম আহ্বায়ক অমিত সাহা বলেন, “এমন নানা আবেদন, হুমকি খাতায় পাওয়া যায়। তবে সে সবে কোনও লাভ হয় না। শিক্ষকরা সব ক্ষেত্রেই আবেদন-হুমকি না দেখে পরীক্ষার্থী কতটা ঠিক উত্তর লিখতে পারল সেটাই বিচার করেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Academics Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE