রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও।
মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিবের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের তরফে বলা হয়, তারা লক্ষ করেছে যে, ভোটে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করার বহু উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু এ বার পার্শ্বশিক্ষকদের যাতে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে না রাখা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এর পাশাপাশি মেডিক্যাল অফিসারদেরও ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার করতে পারে বলে ‘আশঙ্কা’ প্রকাশ করেছিল গেরুয়া শিবির। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, এর আগে পুরসভার ভোটেও অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল। পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজ থেকে বাদ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। একই দাবিতে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে ভোটের কাজে লাগানো হবে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
এই মামলায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ীই ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একান্তই প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। উচ্চ আদালত এই প্রসঙ্গে কমিশনকে নির্দেশ দেয় যে, চতুর্থ পোলিং অফিসারের নীচের কোনও পদে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্য অন্য অস্থায়ী কর্মীদের রাখা যেতে পারে। এই নিয়মের যে অন্যথা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy