মাধ্যমিকের টেস্ট-এর প্রশ্নে এমন কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন রাখা যাবে না যাতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা তাদের বিব্রত হতে হয়। কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন হলে তার দায় প্রধান শিক্ষকদের।
শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই কথা জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন স্কুলের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক। টেস্ট-এর প্রশ্ন করতে হবে স্কুলকেই। কোনও সংগঠন থেকে বা এজেন্সির মাধ্যমে প্রশ্ন কেনা যাবে না। প্রতিটি স্কুলকে তাদের টেস্ট-এর প্রশ্ন পরীক্ষার পরেই পর্ষদ অফিসে পাঠাতে হবে।
পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনও স্কুল এই নিয়মগুলি না মানলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলগুলিতে মাধ্যমিকের টেস্ট নিতে হবে ৩ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।
এর আগে ২০২৩ সালে একটি স্কুল টেস্ট-এ আজাদ কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তারপর ২০২৪ সালেও টেস্ট-এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল কোনওরকম বিতর্কিত প্রশ্ন করা যাবে না। এদিনের বিজ্ঞপ্তি দেখে শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, বেশ কিছু স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। নবম-দশমের ক্লাস নেন অন্য বিষয়ের শিক্ষকেরা। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন তাহলে কে করবেন? মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তার মতে, ‘‘স্কুলে যে বিষয়ের শিক্ষক নেই, সেই বিষয়ে যিনি পড়াচ্ছেন তিনিই প্রশ্ন করবেন। তাছাড়া একটা স্কুলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক একজনও নেই এরকম পরিস্থিতি নেই।’’
টেস্ট-এ বিতর্কিত প্রশ্ন হলে তার দায় প্রধান শিক্ষকদের উপর বর্তানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন, টেস্ট-এ কী কী প্রশ্ন হচ্ছে তার সব কি প্রধান শিক্ষকের পক্ষে দেখা সম্ভব?
এই নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, ‘‘মাধ্যমিকে বিতর্কিত প্রশ্ন থেকে শুরু করে প্রশ্ন ফাঁস, যে কোনও বিষয়ের জন্য জবাবদিহি করতে হয় পর্ষদ সভাপতিকেই। স্কুলের প্রধান যেহেতু প্রধান শিক্ষক, তাই সেক্ষেত্রে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)