বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এক মৃত নাবালিকার পরিচয় তিনি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ। বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে জুভেনাইল জাস্টিস আইন ভেঙেছেন মালবীয়। ওই ঘটনায় বিজেপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। তিন দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
বিজেপির আইটি সেলের ভারপ্রাপ্ত নেতা মালবীয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিবিধ পোস্ট করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি ঘটনা প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। ওই ঘটনার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক নাবালিকার মৃত্যু হয়। মালবীয় দাবি করেন, তাকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশি তদন্তে যৌন নির্যাতনের তত্ত্ব উঠে আসেনি বলেই খবর। নাবালিকার মৃত্যুর পরে তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান, নাবালিকার পেটে বিষ পাওয়া গিয়েছে, এবং বিষক্রিয়াতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। মৃতদেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন থাকলেও, যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে স্পষ্ট করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বিজেপি নেতা সমাজমাধ্যমের পোস্টের সঙ্গে মৃত নাবালিকার ঈষৎ ঝাপসা একটি ছবিও পোস্ট করেন। ওই ছবি পোস্ট করে এবং ঘটনার কথা উল্লেখ করে মালবীয় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা নিরাপদ নন। গত ১৯ জুন নাবালিকার ঈষৎ ঝাপসা ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। এর পরেই শনিবার মালবীয়কে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠাল কমিশন। বিজেপি নেতার পোস্টের কারণে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে বলে অভিযোগ রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। মালবীয় যা করেছেন, তা জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৭৪ নম্বর ধারার পরিপন্থী বলে অভিযোগ। আইনের ৭৪ নম্বর ধারা অনুসারে, এই সব ক্ষেত্রে নাবালক বা নাবালিকার নাম, ঠিকানা, স্কুল, ছবি বা অন্য কোনও তথ্য তাঁর পরিচয় বহন করে, তা প্রকাশ্যে আনা যায় না।