ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে। নদিয়ার সেই জেলাশাসক পবন কাদিয়ানের বিরুদ্ধে এ বার সরব হলেন ওই জেলার অধিকাংশ ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার। রীতিমতো বৈঠক করে ওই জেলাশাসকের ‘অমানবিক’ আচরণের বিরুদ্ধে লিখিত প্রস্তাব নিয়েছেন তাঁরা। ওই বিসিএস অফিসারদের সিদ্ধান্ত, জেলাশাসককে না-সরালে তাঁরা কর্মবিরতির রাস্তায় যাবেন।
নবান্ন সূত্রের খবর, আগের নানান অভিযোগের পাশাপাশি কাদিয়ানের বিরুদ্ধে এ বার অভিযোগ উঠেছে, নদিয়ায় বদলির পরে কাজে যোগ দিতে দেরি করায় হুগলিতে কর্মরত অফিসার রিজওয়ান ওয়াহাবকে তিনি ফোনে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। এর প্রতিকারে নদিয়ার জোটবদ্ধ জুনিয়র অফিসারেরা তাঁদের ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ চেয়েছেন। তবে অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে যে-ধরনের সহযোগিতা বা সহানুভূতি ওই জেলার জুনিয়র অফিসারেরা আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত তা না-ও পাওয়া যেতে পারে বলে সিনিয়র অফিসারদের একাংশের আশঙ্কা। নিজেদের সংগঠনের সিনিয়রদের কাছে সাহায্য মিলবে না, এমন আশঙ্কা কেন? সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ওই জেলাশাসক যে নবান্নের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত!
নদিয়ার বিসিএস-রা ১০ অগস্টের বৈঠকে যে-লিখিত প্রস্তাব নেন, তাতে বলা হয়েছে, দু’তিন মাস ধরে আপত্তিকর ব্যবহার ও মন্তব্য করে চলেছেন জেলাশাসক। অভিযোগ, নতুন অফিসারেরা যোগ দিলে তিনি তাঁদের বলছেন, ‘আমাকে আপনারা চেনেন? জানেন, আমি কী করতে পারি?’ বলছেন, ‘মোবাইলে দু’বার রিং বাজার মধ্যে আমার ফোন না-তুললে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
লিখিত প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়েছে, এক জুনিয়র অফিসারের পেটে ‘সিস্ট’ হওয়ায় চিকিৎসকেরা তা অপারেশন করতে বলেন। তিনি ছুটির দরখাস্ত নিয়ে গেলে জেলাশাসক তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি ছুটি নিলে আপনার কাজ কি আমি করব?’’ তাঁকে মাত্র তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়। সব স্তরের অফিসারদের প্রতি জেলাশাসকের এই দুর্ব্যবহার জেলার কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কাদিয়ান এ দিন ফোন ধরেননি। তাঁর মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy