জেলা এবং ব্লক স্তরে পূর্বাভাস আগেই দেওয়া শুরু করেছিল আবহাওয়া দফতর। এ বার পঞ্চায়েত এলাকাভিত্তিক পূর্বাভাস চালু করতে চলেছে তারা। সূত্রের খবর, আজ, সোমবার থেকেই এই পরিষেবা চালু হবে।
ছোট এলাকার উপরে নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য দেশের নিজস্ব মডেল তৈরি করা হয়েছে। যার নাম ‘ভারত ফোরকাস্টিং সিস্টেম’। কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান, পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিরিয়োলজি পূর্বাভাসের এই গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে। যার নেতৃত্বে আছেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়।আবহবিদেরা জানান, পূর্বাভাস দিতে হলে তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বায়ুপ্রবাহের অভিমুখ ইত্যাদি নানা মাপকাঠির পরিসংখ্যান নিয়ে অঙ্ক করতে হয়। কী পদ্ধতিতেঅঙ্ক করা হবে, সেটাই এক একটি মডেল। বর্তমানে সুপার কম্পিউটার দিয়ে এই গণনা হলেওসেই পদ্ধতি কম্পিউটারেরমগজে পুরে দিতে হয়। ইতিমধ্যেই মৌসম ভবনের সুপার কম্পিউটারের মগজে নতুন মডেল ভরেদেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগে বড় একটি এলাকা জুড়ে পূর্বাভাস দেওয়া হত। ধাপে ধাপে ছোটএলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে আগে বিদেশি মডেল অনুসরণ করা হত। কিছু ক্ষেত্রে সেই মডেল মাজাঘষা করতেন মৌসম ভবনের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেইমডেলের বদলে এ বার নিজস্ব মডেল তৈরি করে কাজে নামা হচ্ছে। আবহবিদদের মতে, বড় এলাকায় পূর্বাভাস দেওয়ার থেকে ছোট এলাকাভিত্তিক পূর্বাভাস অনেক কঠিন। কারণ, এলাকা যখনই ছোট হয় তখন সম্ভাবনা বা প্রোবাবিলিটি অনেক কমে যায়। তাই সে ক্ষেত্রে অঙ্ক অনেক বেশি নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, নতুন মডেলের কাজ থেমে থাকবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরও উন্নত করা হবে।পঞ্চায়েত ভিত্তিক পূর্বাভাস বিপর্যয় এবং কৃষির উন্নতির সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা বাড়ছে। ছোট ছোট এলাকাভিত্তিক দুর্যোগ দেখা যাচ্ছে। তাই ছোট এলাকাভিত্তিক পূর্বাভাস মিললে সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)