Advertisement
E-Paper

পিলিন, হুদহুদ এসেছিল অক্টোবরেই, এবার পুজোয় কী হবে?

রাজ্য থেকে সাধারণত অক্টোবরের ৮ তারিখে বর্ষা বিদায় নেয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বর্ষার খামখেয়ালি মনোভাবের দরুণ সময়টা এগিয়ে-পিছিয়ে যাচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৩
ছবি: নিজস্ব চিত্র।

ছবি: নিজস্ব চিত্র।

পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। ধীরে ধীরে সেজে উঠছে তিলোত্তমা। দম ফেলার সময় নেই পুজো উদ্যোক্তাদের। এক বছর অপেক্ষার পর পুজোর এই চার দিন উৎসবে মেতে থাকেন রাজ্যবাসী।

আচমকা ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দয়া’ আছড়ে পড়তেই যেন মুখ ভার সবার। ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে ঠিকই। কিন্তু শরতের আকাশ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে পেঁজা মেঘের দল। পুজোর সময় বৃষ্টি হবে না তো? আশঙ্কার মেঘ জমছে বাঙালি মনেও।

এ বছর দুর্গা পুজো শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ অক্টোবর। ওই দিন ষষ্ঠী। দশমী পড়েছে ১৯ অক্টোবর। এই সময়ে ঝেঁপে বৃষ্টি যে হবে না, সে কথা বুক ঠুকে বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতর।

পুজোর সময় বৃষ্টি হবে না তো? আশঙ্কা মানুষের।

রাজ্য থেকে সাধারণত অক্টোবরের ৮ তারিখে বর্ষা বিদায় নেয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বর্ষার খামখেয়ালি মনোভাবের দরুণ সময়টা এগিয়ে-পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে নিম্নচাপের জন্য বিদায় লগ্নেও বর্ষা অনেক সময়েই দাপিয়ে ব্যাটিং করছে। এবারেও কী পুজোর সময় বর্ষাসুরের ব্যাটে রান আসবে?

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্ষা হতেই পারে। কারণ ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবরবর্ষা যখন বিদায় নিচ্ছে, তখনই হঠাৎ অসুরের মতো হাজির হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘পিলিন’। ওড়িশা তছনছ করে দিয়েছিল সেই ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাব পড়েছিল এ রাজ্যেও। পুজোর আনন্দও মাটি হয়ে গিয়েছিল সে বার।‘দয়া’র মতো পিলিনও ওড়িশার গোপালপুরে আছড়ে পড়ে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় পিলিনের এক বছরের মাথায়, ২০১৪-রঠিক একই সময়ে বিশাখাপত্তনম ও শ্রীকাকুলামের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’। শক্তির নিরিখে যদিও পিলিন ও হুদহুদ কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি।

পিলিনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার। আর হুদহুদ হাজির হয়েছিল ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে। তার জেরেই এই দু’বছর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয় ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে।এবারেও কি এমনটা হতে পারে? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাসের কথায়: “ঘুর্ণিঝড় বা নিম্নচাপ হবে কিনা, এত আগে থেকে কিছু বলা যাবে না। অক্টোবরে আগেও ঘুর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি হয়েছে। এ বছর পুজোর সময় কেমন আবহাওয়া থাকবে, আর কয়েকদিন পর আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।”

আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্যে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকা জরুরি। অক্টোবরে এই তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তার জেরেই ঘূর্ণিঝড়ের অনুকুল পরিবেশও তৈরি হয়ে থাকে। তবে আরও অনেক কারণ রয়েছে অতি সক্রিয় ঘূর্ণঝড় সৃষ্টির ক্ষেত্রে। এই অক্টোবরও কি তেমন কোনও কারণ ঘটবে?

Weather Durga Puja Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy