ভরসা: হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে আশ্রয় ছাতাই। শনিবার সন্ধ্যায়, ধর্মতলায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী
ক’দিনের নাকাল করা গরমের পর ফের স্বস্তির ছোঁয়া পেল কলকাতা। শনিবার সন্ধ্যার ঝড়বৃষ্টির পরে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে। তবে ঝড়ের জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বৃষ্টিতে রাস্তায় গাড়িঘোড়াও ঢিমে হয়েছিল। তার ফলে স্বস্তির সঙ্গে কিছুটা ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ কালবৈশাখী শুরু হয় কলকাতায়। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও হয়েছে। হাওয়া অফিসের খবর, বিকেল থেকে বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। সন্ধ্যায় কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনাতেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। খাস কলকাতায় ঝড়ের দাপটে ৬টি গাছ পড়েছে তবে হতাহতের খবর নেই।
ঝড়বৃষ্টির জেরে অবশ্য ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, ঝড়ের জেরে টিকিয়াপাড়ার কাছে ওভারহেড তার ছিঁড়ে হাওড়ামুখী একটি পাঁশকুড়া লোকালের গায়ে পড়ে। তাতে আগুনের ফুলকি ছিটলে যাত্রীদের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে কোনও বিপদ ঘটেনি। পরে সাঁতরাগাছি থেকে টাওয়ার ভ্যান এসে তার সারায়। রাত ৮টা নাগাদ ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঝড়ের জেরে বিকেলে হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখায় এবং খানা-বোলপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখা এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন জায়গায় ওভারহেডে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছিল। ঝড়ের কারণে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়ায় কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে চলেছে।
বিমানবন্দরের খবর, ঝড়ের কারণে মিনিট দশেক বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। চেন্নাই এবং গুয়াহাটি থেকে আসা দু’টি বিমান নামতে না-পেরে মুখ ঘুরিয়ে ভুবনেশ্বরে চলে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy