Advertisement
E-Paper

যুবভারতীতে তাণ্ডবের ঘটনায় রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট, পিছোল তিন জনস্বার্থ মামলার শুনানি

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ওই ঘটনায় এ বার রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩৪
গত শনিবার লিয়োনেল মেসি স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তাণ্ডব চলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।

গত শনিবার লিয়োনেল মেসি স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তাণ্ডব চলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। — ফাইল চিত্র।

সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাণ্ডবের ঘটনায় এ বার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী সোমবার রাজ্যকে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ফুটবল তারকা লিয়োনেল মেসি। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। মেসি স্টেডিয়াম থেকে চলে যাওয়ার পরেই দৃশ্য়ত তাণ্ডব চলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ভাঙচুর হয় স্টেডিয়ামে। বস্তুত, ওই দিন মেসি মাঠে প্রবেশ করার পরে একটি জটলা সর্বক্ষণ ঘিরে ছিল তাঁকে। তার ফলে গ্যালারি থেকে দর্শকেরা মেসিকে দেখতেই পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। তার জেরেই এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় গত শনিবার।

সল্টলেক স্টেডিয়ামের ওই বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার মামলাগুলি ওঠে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। এই সংক্রান্ত মামলাগুলি রাজ্য সরকারের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সুপ্রিম কোর্টে অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় রাজ্যের তরফে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের আর্জি মেনে তিনটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয় আদালত।

তবে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার এ বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই দিনই এই মামলাটি শুনবে আদালত।

যুবভারতীকাণ্ডের অনুসন্ধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে।মামলাকারীদের বক্তব্য, রাজ্যের গড়া কমিটির তদন্ত করার ক্ষমতাই নেই। সঠিক তদন্তের জন্য পৃথক কমিটি প্রয়োজন। বস্তুত, রাজ্য সরকার যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে, তার মাথায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়। এ ছাড়াও, কমিটিতে আছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীরা।

পরে আরও একটি মামলা হয় হাই কোর্টে। আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জি জানান মামলাকারী। সেই সঙ্গে দর্শকদের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। আর্থিক তছরুপের কথা উল্লেখ করে ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন ওই মামলাকারী। এই তিনটি মামলারই বৃহস্পতিবার শুনানির কথা ছিল। তবে রাজ্যের আর্জিতে তা পিছিয়ে দেয় আদালত।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy