রবিবার পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডায় কাঁপবে পাহাড় থেকে সমতল।- ফাইল চিত্র।
ফের জাঁকিয়ে শীত পড়ল রাজ্যে। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে পাহাড় থেকে সমতল। আকাশ পরিষ্কার থাকায় শনিবার সকালে দার্জিলিং থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিদায় বেলায় রাজ্যে শীতের প্রত্যাবর্তনে তাই খুশি পর্যটকেরাও। পাহাড়ের পাশাপাশি দিঘা-মন্দারমনি এবং শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানেও ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। আজ শনিবার এবং আগামিকাল রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শীতের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেলেও ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে শীত। শুক্রবার থেকেই উত্তুরে হাওয়া দাপট দেখাতে শুরু করে। ওই দিন সকাল থেকেই শীত শীত ভাব ছিল। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেই তাপমাত্রা একধাক্কায় আরও প্রায় তিন ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা দুই ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অন্তত রবিবার পর্যন্ত এমনই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপবে পাহাড় থেকে সমতল।
শুধু কলকাতাতেই নয়, অন্যান্য জেলাতেও উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ফের কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। শনিবার বাঁকুড়া ও আসানসোলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কাঁথির তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৮.২ ডিগ্রিতে। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবার ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেমন দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শিলিগুড়ির ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষায় টাকা দিতে হবে সরকারকেই’, খুশি ঐশীরা
তার উপর আগামী সপ্তাহে, ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আলিপুর। বৃষ্টি হলে জানুয়ারির শেষে পারদ আরও নামতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ওই সময় বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তও তৈরি হতে চলেছে। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। ঠান্ডা হাওয়া এবং সমুদ্রের জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে তৈরি হবে বৃষ্টির মেঘ। সে কারণেই আগামী সপ্তাহে তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: শাহিন বাগ মিনি পাকিস্তান, প্রচার করছে গেরুয়া শিবির
এ বার আসার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল শীত। তার কারণ আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘পবন’। তার উপর পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আর ঘূর্ণাবর্তের যুগলবন্দির জেরে চলতি মরশুমে চলতে চলতে মাঝে মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে শীতকে। মাঝে মধ্যেই স্যাঁতসেতে মেঘলা আবহাওয়া এবং বৃষ্টি পেয়েছেন রাজ্যবাসী। তবে জানুয়ারির শেষে বেশ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় তা দারুন উপভোগ করছেন রাজ্যবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy