Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Adhir Ranjan Chowdhury

ভোটের সময় উত্তরবঙ্গের কথা মনে পড়ে সকলের, শিলিগুড়িতে মন্তব্য অধীরের

উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি যে পর্যটন শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে, তার উপরেও ক্রমশ মুঠো আলগা হতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন অধীর।

শনিবার শিলিগুড়িতে অধীর।

শনিবার শিলিগুড়িতে অধীর। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৩৭
Share: Save:

নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে কলকাতাকেও দেশের রাজধানী করার দাবি তুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ বার শিলিগুড়িকে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যনগরী এবং দুর্গাপুরকে শিল্প-রাজধানী করার দাবি তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার শিলিগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে এমন দাবি তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, ভোট এলেই সকলের মনে পড়ে উত্তরবঙ্গের কথা। অন্য সময় সরকারের নজর কোথায় থাকে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শিলিগুড়ির বাঘাযতীন ময়দানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর। সেখানেই তৃণমূল সরকারকে একহাত নেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হন। অভিযোগ করেন, একমাত্র ভোটের সময়ই উত্তরবঙ্গের কথা মনে পড়ে সকলের। মমতা সরকারকে নিশানা করে বলেন অধীর বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে উত্তরবঙ্গের কথা মনে পড়েনি। ভোট এগিয়ে আসতেই এখন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে এত মাথাব্যথা।’’
উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি যে পর্যটন শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে, তার উপরেও ক্রমশ মুঠো আলগা হতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন অধীর। তাঁর অভিযোগ, ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এত দিন দার্জিলিংই পছন্দের জায়গা ছিল। কিন্তু আজকাল দার্জিলিঙের পরিবর্তে সিকিমের গ্যাংটকেই পর্যটকদের ঢল বেশি। পাহাড়ে পর্যটন নিয়ে সরকারের উদাসীনতাকেই এ জন্য দায়ী করেন তিনি।

রাজ্যে এই মুহূর্তে যে গেরুয়া হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন অধীর। বিভাজনের রাজনীতি ছাড়া বিজেপি-র কোনও অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি করেন তিনি। পেট্রল-ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE